Saturday, December 29, 2012

যারা নীতি-নিয়ম-এথিকস-ল’ মেনে থাকে তাদের উপর এই ‘ডেমাক্লিসের তরবারি’ অনবরত ঝুলে থাকে


কলাম লেখক ব্রিগেডিয়ার(অবঃ) এম আব্দুল হাফিজ গত ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২ দৈনিক সমকাল পত্রিকার উপসম্পাদকীয় কলামে “ডেমক্লিসের তরবারি!” শিরোনামে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে একটি লেখা লিখেছেন।
উক্ত লেখার কয়েকছত্র নিচে উদ্ধৃত করলাম।
“অহর্নিশ ঝোলানো ডেমাক্লিসের তরবারি ঝুলে থাকে আমাদের গর্দানের ওপর আতঙ্ক ও অস্বস্তির মিশ্রণে। টানাপড়েনের সংসার যৎসামান্য পেনশনের টাকায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। মাসওয়ারি খরচার হিসাবে কোনো তারতম্যের সুযোগ নেই। সেখানে যদি সংবৎসর শুনতে হয় মূল্যবৃদ্ধির আগাম খবর_ মূল্য যখনই বাড়ূক আমরা থাকি সেই প্রবাদের তরবারির নিচে, যা আমাদের গর্দানের ওপরই ঝুলে রয়েছে। শুনছি, নতুন বছরের শুরুতেই নাকি এই সরকারের মেয়াদকালে সপ্তমবারের মতো বিদ্যুতের দাম বাড়বে। বাড়বে জ্বালানি তেলের দাম, যার অর্থ_ বাজারে আরেক দফা আগুন। দাম বাড়াবাড়ির হিড়িকে এতটাই বোধশক্তিহীন হয়ে পড়েছি যে, এসব দুঃসংবাদ আর আমাকে উত্তেজিত করে না। বিনা প্রতিবাদে আমাদের নিয়তি জেনে বলির পাঁঠার মতো শুধু গর্দান পেতে দিই।”/
তাঁর লেখা পড়ার পরে আমি আমারে ফেসবুক স্ট্যাটাসে নিচের মন্তব্য জুড়ে দিয়ে তাঁর লেখাটি শেয়ার করি। ব্লগ পাঠকদের জন্য আমি তাঁর লেখা এবং আমার মন্তব্য শেয়ার করলাম।
“এই ডাকাতি-চুরি-লুন্ঠন-ছিনতাই-ঘুষ-দুর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিকতাপ্রবণ দেশে যারা সমঝে চলে, নীতি-নিয়ম-এথিকস-ল’ মেনে থাকে তাদের উপর এই ‘ডেমাক্লিসের তরবারি’ অনবরত ঝুলে থাকে। অর্থবিত্তবান লুন্ঠনশ্রেষ্ঠদের জন্য ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি,গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কোনো কিছুই যায় আসে না, যায় আসে তাদের যারা জীবনে ঘুষ খাওয়ার কথা চিন্তা করেনি, নিজের স্বার্থে দেশকে বিক্রি করতে পারেনি, যারা অন্যের পকেট কাটতে চেষ্টা করেনি।”
নিচে সমকাল পত্রিকায় লিখিত তাঁর লেখার ওয়েব লিন্ক যোগ করলাম।

Thursday, December 27, 2012

এম এন লারমা পার্বত্য চট্টগ্রামের অগ্রগামী লড়াইয়ের পুরোধা পুরুষ, অনন্য এক ব্যক্তিত্ব

সকল নেতৃত্বের কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে, এম এন লারমারও থাকতে পারে। তবে পার্বত্য জুম্ম জনগণ তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম সংগঠিত হয়েছিল, লড়াই করেছিল প্রাণপন। তাঁকে জানাই লাল সালাম। তাঁকে "আইকনাইজড" করার প্রয়োজন মনে করিনা, যাতে মনে হতে পারে তিনি শুধু 'দেবতাতূল্য' ' তাঁর বিকল্প কেউই হবেনা। আমাদের প্রয়োজন তাঁর কর্ম থেকে শিক্ষা নেয়ার, তাঁকে অনুসরণ করার। তাঁর যদি কোনো ভুল থাকে তা শুধরে নিজেকে জাতির প্রয়োজনে গড়ে তোলার কাজ করে যাওয়াটাই আজ সবচেয়ে প্রয়োজনীয় করণীয়। 

M N Larma এম এন লারমা

 এম  এন লারমা। জন্ম ১৯৩৯ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর পার্বত্য রাঙামটি জেলার নান্যাচর থানাধীন মাওরুম নামে এক গ্রামে। তাঁর ডাক নাম মঞ্জু। পার্টিতে যুক্ত হয়ে তাকে ডাকা হতে  'প্রবাহণ' নামে। তার পিতার নাম চিত্ত কিশোর চাকমা। মায়ের নাম সুভাষিনী দেওয়ান। 
১৯৫৮ সালে তিনি রাঙামাটি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে  ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট অর্জন করেন। ১৯৬০ সালে চট্টগ্রাম গভমেন্ট কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন।
১৯৫৭ সালে পার্বত্য জুম্ম ছাত্রদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলন সফল করতে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।
ছাত্রাবস্থায় চট্টগ্রামে অবস্থান করার সময় তিনি  ১৯৫৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং লড়াইয়ে সক্রিয় অংশ নেন।

১৯৬০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে কাপ্তাই বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেয়। কাপ্তাই বাঁধ তৈরী করা হলে হাজার হাজার জুম্ জনগণ উদ্বাস্তু হবে এবং তারা তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ হবে। এই বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি এই  কাপ্তাই বাঁধ গঠনের বিরোধীতা করার উদ্যোগ নেন। তিনি "কাপ্তাই বাঁধ পাহাড়িদের মরণ ফাঁদ"  এই শ্লোগান সম্বলিত একটি লিফলেট প্রকাশ করে  কাপ্তাই বাঁধ গঠনের বিরোধীতা করেন।
সরকার এ কারণে তাকে কারারুদ্ধ করে রাখে। ১৯৬৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী হতে ১৯৬৫ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত তিনি কারান্তরীন থাকেন। পার্বত্য জুম্ম আন্দোলনের ইতিহাসে তিনিই প্রথম ব্যক্তিত্ব যিনি জুম্ম জনগণের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য সরকারের রোষানলের শিকার হন এবং কারাবরণ করেন।
১৯৬৫ সালে তিনি জেলে থেকে বিএ পরীক্ষা দেন এবং বিএ পাশ করেন।
এরপর তিনি ১৯৬৬ সালে দিঘীনালা উচ্চ বিদ্যালয়ে কিছুদিন সহকারী শিক্ষক হিসেবেশিক্ষকতা করেন।
পরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে  ১৯৬৮ সালের দিকে কিছুদিন চাকুরী করেন।
১৯৬৮ সালে বিএড ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৯ সালে এলএলবি পাশ করেন  এবং চট্টগ্রাম বার এসোসিয়েশনে যুক্ত হয়ে আইন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।

১৯৭০ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে তিনি আইন পরিষদের সদস্য হিসেবে উত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচনে জয়লাভ করেন।
এরপর ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় তিনি কোনো রাজনৈতিক কার্যকলাপে নিজেকে যুক্ত না করে চুপচাপ বা নিষ্ক্রিয় অবস্থায় জীবন যাপন করেন।
১৯৭২ সালে তার নেতৃত্বে তৎকালীন সরকার প্রধান শেখ মুজিবের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য বিশেষ শাসনব্যবস্থার দাবি জানিয়ে  তিনি ৪ দফা দাবিনামা পেশ করেন। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান এই দাবিনামার প্রতি ইতিবাচক সায় প্রদান না করে উল্টো প্রতিনিধি টীমকে এককথায় অপমান করেন। এতে এমএন লারমা বুঝতে পারেন পার্বত্য জুম্ম জনগণ এই শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে কোনো অধিকার পাবে না। তাই পরে তিনি ঢাকা থেকে ফিরে 'জন সংহতি সমিতি' গঠনের উদ্যোগ নেন। এ সময় তিনি জুম্ম জনগণের নিজস্ব অস্তু শক্তিসম্পন্ন সশস্ত্র সংগঠনের প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেন। এবং গোপনে 'গণ মুক্তি ফৌজ' নামে একটি সশস্ত্র সংগঠনও দাঁড় করান। এই সংগঠন ও তার কার্যকলাপ পার্বত্য জুম্ম জনগণের কাছে এত জনপ্রিয়তা লাভ করে যে জনগণ এই সংগঠনকে ভালবেসে "শান্দিবাইনি" বা বাংলায় "শান্তি বাহিনী" নাম বসিয়ে দেয়। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পরে পাবত্য চট্টগ্রামের  'ডাকাত দল'গুলোকে দমন করে, এছাড়া শান্দিবাইনি/শান্তিবাহিনী গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রেখেছিল।
১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সেই নির্বাচনে পার্বত্য চট্টগ্রাম আসন থেকে এসেম্ব্লি মেম্বার নির্বাচিত হন। এরপরে তিনি শেখ মুজিবের প্রতিষ্ঠিত 'বাকশাল'এ যোগ দেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিব নিহত হলে এমএন লারমা আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হন। পরে তিনি আত্মগোপনে থেকে সশস্ত্র লড়াই শুরু করেন।
১৯৭৬ সালে শান্তিবাহিনী সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র আক্রমণ পরিচালনা করে।

১৯৮২ সালের ২৪ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর এমএন লারমা প্রতিষ্ঠিত জেএসএস এর কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। এই কংগ্রেসে সংগ্রামের লাইন নিয়ে নেতৃত্ব দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে।
এমএন লারমা "রণনীতিগতভাবে দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রাম ও রণকৌশলগতভাবে দ্রুত নিষ্পত্তির লড়াই" এই তত্ত্ব প্রদান করেন। তার বিপরীতে প্রীতি কুমারের নেতৃত্বাধীন গ্রুপ "রণনীতিগতভাবে দ্রুতণিস্পত্তি"র তত্ত্ব উপস্থাপন করেন।এ গ্রুপটি 'বৈদেশিক সাহায্য নির্ভর নীতি' অনুসরণ করে পরদেশের সহযোগিতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা উত্থাপর করেছিল।
এই  দুই ধারার মধ্যে বিরোধ 'আলোচনা-সমালোচনা' পদ্ধতিতে মীমাংসিত না হয়ে তা সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়।
১৯৮৩ সালের ১০ নভেম্বর তিনি এমএন লারমা উক্ত গ্রপ দ্বারা হামলার শিকার হন। এবং তিনি শহীদ হন। তার সাথে আরো ৮ জন শহীদ হয়েছিলেন।


মেরী কম ভারতের মনিপুর রাজ্যের এক নারী

মেরী কম Mary Kom
মেরী কম যার পুরো নাম MANGTE CHUNGNEIJANG MARY KOM , ভারতের মনিপুর রাজ্যের এক নারী, একাধারে গৃহিনীও। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে তিনি বক্সার হিসেবে অংশ নেন। ব্রোঞ্জ মেডাল অর্জন করেন। তিনি বক্সিঙে ৫ বার ওয়ার্ল্ড চ্যা্পিয়ান হয়েছেন। তিনি Yahoo ইন্ডিয়া কর্তৃক First Ever Person of the Year 2012 হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর সম্পর্কে yahoo India লিখেছে " 

"Million Dollar Mary - Bijoy Venugopal | Yahoo! India
With pride, privilege and immense pleasure we announce Yahoo! India’s first-ever Person of the Year 2012. MANGTE CHUNGNEIJANG MARY KOM, Olympic boxer, five-time world champion, model Indian woman, ambassador of the northeast, mother, daughter, wife, friend, teacher, muse… it was not a difficult choice to pick the one Indian whose life story begs to be told."

তাকে শুভেচ্ছা।
তিনি যেখানেই গিয়েছেন সেখানেই তার মনিপুরকে মনে রেখেছেন, গেঁথে রেখেছেন মনে তার জাতিকে পরম স্নেহে-মমতায়।
এমন নারী পার্বত্য জুম্ম জনগণের মাঝেও জনম নেবে এ আশা।

 ফেসবুকে তাঁর ছবি ট্যাগ করে লেখাটি প্রকাশ করলে Moinul Tuheen নিচের মন্তব্যটি করেন। আমি তার লেখার জবাবে একটি মন্তব্য করি। সেই মন্তব্যও নিচে যুক্ত করলাম।
  • Moinul Tuheen But why u are so excited abt a Monipuri? why not for all Indians?u are making the difference man
  • Mithun Chakma Jumma Dear Moinul Tuheen , We must appreciate who loves his/her own surroundings(Nation? state?people?) with deep heart. Mary Kom is such like a person. she was interviewed by BBC when she attended in 2012 London Olympic. At that time She told , if she get 'Medal' in Olympic, She at first would dedicate the 'Medal' to her state, The Manipur, and than followed India, her own country. But in Bangladesh, none of our CHT Jumma people/person/Lady/Man would dare to say such word, because either She/He is not so much accustomed with his/her own tradition or she/he not aware how to love his/her own 'People', or she/he wouldn't say it because she/he would fear the 'fury' of the "State" the country, the ruler, the administration. But Dear Mary Kom showed how to love her own "Manipuri People and state" and than how to express respect for her country.

Wednesday, December 26, 2012

ছবি:ইউপিডিএফ-এর ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

 ইউপিডিএফ-এর ১৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শত শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন

তারা কিভাবে আরেকটি জাতি বা জাতিসত্তার ইতিকথাকে স্বীকার করতে শিখবে? [(কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে দুঃখিত. ক্ষমাপ্রার্থী)]


[নিচের এই লেখাটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে শেয়ার করেছিলাম। কোনো কাটাছেঁড়া এবং সংশোধন না করে লেখাটি ব্লগে পোস্ট করলাম।আশাকরি এই লেখা পাঠকগণকে লেখাটির বিষয়বস্তু নিয়ে ভাবিয়ে তুলবে ] 

আজ(25 December, 2012) একজন পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করলেন। ভনিতা না করে বা অন্য কথা না বলে আমি তাকে বললাম, যে জাতির নেতা-নেত্রী, হর্তা-কর্তা, ভাগ্যবিধাতারা নিজের জাতিগত ইতিহাসকে সম্মান দেয়না সে জাতি বা জাতিসত্তা কিভাবে অন্যের অধিকারের প্রতি সম্মান জানাবে বা অন্য জাতিকে অধিকার দেবে?

২০১১ সালের ৩০ জুন বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের 'জনগণ'কে জাতি হিসেবে "বাঙালী" বানানো হয়েছে। যারা এই সংবিধান সংশোধন করেছে তারা কি জানে এই বাংলাদেশের জাতিগঠনের ইতিহাসের হাজার বছরে এই জনপদে কত "জাতি, জাতিগোষ্ঠী"র আগমন ঘটেছে?
তারা কি খবর রাখে "বাঙালী" এই শব্দটি খুবই নবীন একটি শব্দ!(কতটা নবীন?!)।

এই জাতির হাজার বছরের ইতিহাস তো বাঙালী জাতির ইতিহাস নয়। এই জনপদের ইতিহাসে জড়িয়ে আছে সান্তাল, মুন্ডা, কোচ, কোল, ডালু, মাহাতো, নিষাদ, কিরাত, শক. হুন, মোঘল, আরব, মঙ্গোলীয় ইত্যাদি জাতির আগমন-অবস্থান-মিশে যাবার হাজার বছরের প্রক্রিয়া।

অথচ "হর্তা-কর্তা-বিধাতা-দন্ডমু্ন্ডের কারিগর" "রক্ষক-ভক্ষকরা" তাদের "খো্য়ারে" বসে একটা সংবিধান বানিয়েছেন যাতে তারা তাদের পিতৃপুরুষের ইতিকথাটাই লেখেননি। তারা কিভাবে অন্য একটি জাতি বা জাতিসত্তার প্রতি সম্মান-মর্যাদা দেখানোর জন্য মুখিয়ে থাকবে? তারা কিভাবে আরেকটি জাতি বা জাতিসত্তার ইতিকথাকে স্বীকার করতে শিখবে?

তারাতো তাদের পিতামাতাকেই স্বীকার করেনা ....

(কারো মনে দুঃখ দিয়ে থাকলে দুঃখিত. ক্ষমাপ্রার্থী)

Friday, December 21, 2012

Another Indigenous Jumma girl have been killed presumabely after RAPE

Violence against jumma women have been rampant in recent years. We have got the  information that One Indigenous Jummma girl's dead body have been found today on 21 december at evening from a paddy field. Her name is Thomaching Marma(14), She is from Bordolu village at Kaukhali under Rangamati District. She is studying at class 8 in Kaukhali girls high school. All are apprehending that she was killed after rape.
In Chittagong Hill Tracts(CHT)  Violennce and  harassment against women is fearfully on the rise.

Tuesday, November 20, 2012

নেতৃত্বত সফল অহনার এগ্গান লক্ষণ

 সমষ্টিগতভাবে কোনো এগ্গান কামঅত সফল অহবার পরে জেক্কেনে বেক্কুনে কঅন- " আমি বেক্কুনে মিলিনেই এ বিজয়আন সিনি আন্নেই"। গায় নেতাবো বা একজন-দিজনে দাবি ন গরন। সেক্কেনে আজলে নেতৃত্বর সফলতা প্রমাণিত অহয়। আর আমি ভুল অহলে জ্যা আগমুলিম তারে গারেই। সফল অহরে নিজঅ বাইনীআন গুরি। আমার নিজঅ মাধা ফেজা আগে রিনি চানা দরকার।
(এ লেখাটি ফেসবুকে ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবর শেয়ার করি।)

Somostigotobhabe kono eggaan haamot sofol ahbaar por jekkene bekkune kon- 'aami bekkune milinei ei bijoy sini aannei', gai netaabo baa ek-dijone daabi na goron, sekkenei aajole netrittor sofolota promanita ahy. Aar ami bhul ahle je aagmulim taare gaarei, sofol ahle nijo baa-ini-aan(proshongsha) guri. Nijo madafeja aage rini cana dorkar.

চাকমা জাতির চরিত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে সতীষ চন্দ্র ঘোষের মূল্যায়ন

 চাকমা জাতির চরিত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে সতীষ চন্দ্র ঘোষের মূল্যায়ন

সতীষ চন্দ্র ঘোষ বোধকরি ১৯০৯ সালের দিকে 'চাকমা জাতি' গ্রন্থটি লেখেন। সেটি অনেকদিন আগে পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। তা থেকে দু'এক ছত্র ডায়রিতে লিখে রেখেছিলাম। তার মধ্যে তাঁর চাকমা জাতির চরিত্র-বৈশিষ্ট্য নিয়ে মূল্যায়নমূলক বক্তব্য সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছে হচ্ছে।

মিতব্যয়িতা বা অসংযমী বৈশিষ্ট্য নিয়ে চাকমাদের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন-

          " বোধহয় সংযমেরই অভাবে চাকমাদিগের মধ্যে মিতব্যয়িতা একেবারেই নাই নতুবা ইহারা যেরূপ পরিশ্রমী এবং উপার্জনক্ষম, বেশ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে সংসারযাত্রা নির্বাহ করিয়া যাইতে পারে।"( চাকমা জাতি, পৃষ্ঠা-৩৬)

বিলাসতা নিয়ে তাঁর করা মন্তব্য-

       " শিক্ষিতদের মধ্যে কেহ কেহ সাক্ষাত বিলাত ফেরত বাবু- চলাফেরাও অনেকটা ইঙ্গবঙ্গদল সম্মত। ইহা ছাড়া সাধারণ চাকমাদিগের মধ্যেও এতদূর বিলাস-ইচ্ছা প্রবেশ করিয়াছে যে , কেহ কেহ দোকানে উপস্থিত হইয়া প্রথমে ' রাজা যে কাপড় পরেন' তাহা অনুসন্ধান করেন।" (চাকমা জাতি, পৃষ্ঠা-৩৭)

Saturday, November 17, 2012

ইউপিডিএফএর স্বেচ্ছাশ্রম কর্মসূচি এবং জাতীয়ভাবে আমাদের অলস মানসিকতা কাটাতে আমাদের দায়িত্ব


ইউপিডিএফ বাস্তবভাবে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ধান কাটার মৌসুমে জনগণকে সহযোগিতার একটি কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। তারা খাগড়াছড়ি সদরে এক ধানচাষীর পাকা ধান কেটে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে। পাকা ধান কেটে দিয়ে ধানচাষীদের সহযোগিতা করার এই উদ্যোগ নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরণের বক্তব্য, প্রশংসা, সমালোচনা ইত্যাদি উঠে আসছে। এ বিষয়ে কিছু কথা নিচে লিখে শেয়ার করলাম।

জাতিগতভাবে আমরা পরিশ্রমী হিসেবে নাম কুড়ালেও মানসিকভাবে আমরা খুবই অলস বলেই আমার মনেহয়। আমরা যত কথা বলি তার চেয়ে কম কাজ করি। যা বলি তা বলার পরে কী বলেছি, কেন বলেছি, বলার পরে যে করণীয়ও রয়েছে তাও অনেকসময় মনে থাকেনা।


ইউপিডিএফ গ্রামে ধান কাটার মৌসুমে ধানচাষীদের সহযোগিতা করছে এটা ভালো উদ্যোগ হবে তখনই যখন জাতিগত দিকথেকে অলস মানসিকতাকে আমরা ঝেরে ফেলতে পারবো। ধান চাষ বা পাকা ধান তোলার মৌসুম থাকে। সময়ে ধান লাগাতে না পারলে বা ধান কাটতে না পারলে বা তুলতে না পারলে ধানচাষীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি পোহাতে হয়। সাধারণত 'মালেইএ' সিস্টেম প্রচলিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে বা মৌসুমের মধ্যে কাজটি সারা বা শেষ করার জন্য। এতে অর্থক্ষয় স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশী হলেও কিছুই করার থাকেনা। ধানচাষী সময়মত ধান রোপন বা ধান কেটে তুলতে না পারলে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি জাতিগতভাবে আমাদের এই মানসিক অলসভাব কাটাতে হলে ইউপিডিএফএর মতো এই ধরণের কাজকে মন থেকে সাপোর্ট দেয়া আমাদের অন্যতম কর্তব্য হওয়া প্রয়োজন। তা যাতে আদতেই সফলতার মুখ দেখে তার জন্য প্রয়োজনে নিজেরাই মাঠে নামার উদ্যোগ নেয়া বর্তমান সময়ের জন্য সবচেয়ে গুরুতর করণীয় একটি দায়িত্ব।
এই কাজটি না করে ঘরে বসে রাজা উজির মেরে বা নেটে বসে 'বিজ্ঞ' ফলিয়ে আমাদের কাজের কাজ কিছুই হবে না। চাকমা বাষায় একটি প্রবাদ রয়েছে। তা হচ্ছে' রেদোত অহলে সাত আহল, বিন্নে এক আহলও নেই। এই প্রবাদ বাক্যটি ইউপিডিএফএর এই ধরনের কাজের জন্য যেমন আগাম ওয়ার্নিঙ তেমনি যারা সমালোচনা কর যাচ্ছেন তাদের জন্য একটি বার্তা যে আমাদের আরো অনেকদূর এগুতে হবে কথা না বাড়িয়ে।

চট্টগ্রামে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জুম্ম জনগণের দিনযাপন


চট্টগ্রামে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জুম্ম জনগণের  দিনযাপন

নভেম্বর, ২০১২

চট্টগ্রামে অক্টোবর মাসে এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি ধর্ষনের ঘটনা সংঘটিত হবার কথা জানা যায়। প্রথমটি সংঘটিত হয় ২৪ অক্টোবর চট্টগ্রামের রাউজান এলাকার হলদিয়া রাবার বাগান এলাকায়। যুবলীগের ৪ জন সন্ত্রাসীরা মারমা জাতিসত্তার এক গর্ভবতী নারীকে তারা পালাক্রমে ধর্ষন করে।ধর্ষনের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার কথা জানা যায়নি।

এরপর ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় একজন জুম্ম স্কুল ছাত্রী ধর্ষিত হন। জানা যায় রাতে স্কুল ছাত্রীটি তার এক বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে যায়। এ সময় তাকে ধর্ষন করা হয়। ৬ জন তাকে বাঙালী তাকে ধর্ষন করে বলে জানা যায়। পরে পত্রিকা মারফত জানা যায় এই ধর্ষন ঘটনায় একজন জুম্মও ছাত্রও সংশ্লিষ্ট রয়েছে। জুম্ম ছাত্র-যুব সমাজের এক অংশ এই ধরণের অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়ার ঘটনা দেখে আমরা আরো বেশী আতংকগ্রস্ত হচ্ছি।

এছাড়া অক্টোবর মাসের ১২ তারিখে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন দক্ষিণ মুসলিমাবাদ বারেক নগরের ধানক্ষেত থেকে এক অপরিচিত জুম্ম/পাহাড়ি নারীর লাশ পাওয়ার কথা দৈনিক পূর্বকোণের ১৩ অক্টোবর সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। চট্টগ্রামের শহর এলাকায় জুম্ম নারীর উপর এ ধরণের সহিংসতা সাধারণ জুম্ম নর-নারীকে ভাবিয়ে তুলেছে। সবচেয়ে বেশী আতংকের বিষয় হচ্ছে এ সকল ঘটনার সাথে জড়িত প্রকৃত দোষীদের এখনো আইনের আওতায় আনা হয়নি।
চট্টগ্রাম শহরে ৪০ হাজারের উপর জুম্ম বসবাস করছে যার অর্ধেক হচ্ছে নারী। রাস্তাঘাটেও জুম্ম নারীদের নানা ধরনের হয়রানীর শিকার হতে হয়, যা প্রকাশিত হয়না।

গত ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাঙামাটি শহরে সাম্প্রদায়িক হামলার জের ধরে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রামে আসা কয়েকজন জুম্মকে অক্সিজেন এলাকায় নির্বিচারে মারপিট করা হয়। এছাড়া ২০১০ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী যখন খাগড়াছড়িতে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছিলো তখনও চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকায় জুম্মদের উপর হামলা করা হয়েছিল।

 এক অর্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে কোনো বড়ধরণের হামলার ঘটনা সংঘটিত হলে চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী জুম্ম জনগণকে সবসময় তটস্থ হয়ে থাকতে হয়।


চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় যে সকল জুম্ম নানা পেশার কারনে বসবাস করছে তাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি বাসায় অথবা পথেঘাটে সন্ত্রাসী-মাস্তান যুবকরা ইচ্ছে হলেই আমাদের জুম্ম যুবকদের উপর চড়াও হয়।নানা ধরনের উৎপাত শুরু করে দেয়। তাদের উপর কথা বলা বা এইসবের প্রতিবাদ করতে গেলেই সাম্প্রদায়িক চাপ সৃষ্টি করে তা থামিয়ে দেয়া হয়।

আমাদের মধ্যে ভ্রাতৃঘাতী দ্বন্দ্বের সুযোগও এসব মাস্তানরা নিয়ে থাকে। বিশেষত চট্টগ্রামের বন্দর এলাকায় কোন এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ঘায়েল করতে গেলে তাদেরকে অবশ্যই সে এলাকার স্থানীয় পেশীবান মাস্তান-সন্ত্রাসীদের হাত করতে হয়। অবস্থাটা এমন, এইসব মাস্তান-সন্ত্রাসীরা যার পক্ষ নেয় তারাই সে অঞ্চলে রাজত্ব করতে পারে। এভাবে পরমুখাপেক্ষী/অপরের শক্তির উপর নির্ভর করে আমরা রাজনীতির মাঠে দিনযাপন করছি অন্তত এই চট্টগ্রামে!

তারপরও আশা থাকে … …

তারপরও আশা থাকে কারন কেননা আমরা জানি যে কারনে এসব হচ্ছে তার বিধান/মীমাংসা  করতে পারলেই আমরা এর থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারবো।
সকল কিছু সমস্যার মূলে হচ্ছে, আমাদের সাংস্কৃতিক অধপতন, মতাদর্শিক দৈন্য, সামাজিক শৃঙ্খলার ঘাটতি, সমাজবিমুখ-রাজনৈতিক চেতনাবিহীন বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন।

আমরা আজ বিভক্ত দলীয় বৃত্তে, সমাজের অনেকেই বিচ্ছিন্ন সমাজ থেকে, নেই পারষ্পরিক সামাজিক-রাজনৈতিক সম্পর্ক ও যোগাযোগ, নেই জাতিগত সামাজিক চেতনা ও মূল্যবোধ। অহংবোধ কিন্তু রয়েছে সবার মাঝে নিজ নিজ তরফ থেকে।

এইসবকিছুর একটা বিহীত  আমাদের করতেই হবে।
আপনারা আমরা সবাই আশায় থাকি … …

## বন্ধন সৃষ্টি হোক বৃহৎ সফলতার জন্য, সুমহান কর্মযজ্ঞের জন্য আমাদের মন-ভাবনা সম্মিলিত হোক এই প্রত্যাশা ##

সকলকে ধন্যবাদ

ব্যক্তির ক্ষেত্রে যেমন তেমনি জাতিগত-সামাজিক ক্ষেত্রেও KNOW THYSELF ই প্রথম মীমাংসার বিষয়


কোনো জাতির বা জাতিসত্তার মুক্তি বা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নানা উত্থান-পতন, সফলতা-ব্যর্থতা থাকে। এ্টাই স্বাভাবিক। তবে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষালাভ করে ব্যর্থতাকে সফলতার দুয়ার হিসেবে যারা ব্যবহার করতে পারে বা যারা সফলতাকে নিরঙ্কুশভাবে করায়ত্ত মনে না করে সফল সকল লড়াইকে প্রকৃত সফলতার জন্য ব্যর্থ না হতে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে তারাই বা সেই জাতি/ জাতিসত্তাই অধিকার পাবার যোগ্য।

আমরা ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে একটি লড়াইকে আমরা "আধ্যান্যা" করে রেখেছি তার থেকে শিক্ষা নিয়ে যত তাড়াতাড়ি নিজেদের আন্দোলনকে সফলতার দুয়ারে নিতে পারবো ততই আমাদের জন্য মঙ্গল। আমরা যদি শুধু সফলই হতাম তবে আমরা শিখতে পারতামনা। আমরা ব্যর্থ বলেই আমরা শিখতে পারছি। বাংলাদেশ সরকার সফল হয়েছে বলে তাকে সবসময় ভাবতে হচ্ছে এই সফলতা কতদিন টিকবে তা নিয়ে। আমাদের কিন্তু তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছেনা। ব্যর্থ বলেই আমরা আন্দোলনকে পরিপূর্ণ সফল করতে এখন আমরা নানাভাবে/নানা উপায়ে চিন্তাভাবনা করতে পারছি।

কিন্তু আমাদের কাছে বর্তমানে একটাই সমস্যা তা হচ্ছে আমরা আসলেই ব্যর্থ বা সফল হয়েছি তা নিয়েই আমাদের মধ্যে যতসব বিভ্রান্তি বিরাজ করছে। এই বিভ্রান্তি যত শীঘ্রই কাটবে ততই আমাদের জন্য শিক্ষালাভের ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। আর আমরা যত তাড়াতাড়ি শিখতে পারবো ... ... ... ।

Friday, October 26, 2012

I will not devote myself blindly to anything

I wrote down the following feelings in a discussion on CHT VOICE FB Groups.
It is on a reply to Mr. Biplob Rahman's, comment, the moderator/admin of the group.

 

 The group admin has written that any kind of ANTI STATE and ANTI LAW AND ORDER ACTIVITIES" in the group must not be tolerable. I asked them what is the definition of ANTI STATE?

 

I wrote, "Dear Biplod Da, I don't know how one would separate between ANTI STATE and BESIDE STATE. From one's view STATE means the PEOPLE, NOT merely the LAW/THE MEn/Women made constitution. So Biplob Da, Will you clarify about the definition of "ANTI STATE" or "ANTI LAW AND ORDER"? I am confused."

"IF The Constitution of any country or The State itself exercise its might against humanity or if The State or The Constitution reject or discard its own history of pluralities, multicultural heritage then every human of That State or That Country Must/Should/have to fight against the REIGN of Jungle Tendencies. I personally believe it, maintain it, inherit it and exercise it. If Someone tagged me ANTI STATE by holding this Ideology I must SAY that YES you are right, i am ANTI STATE , even a Follower of the ANTI LAW, that means i dare to not to Care the LAW of the 'jungleeytes'. I am affirmed on it."

 

From my point of view if someone want to discuss on State, he/she must first clarify the definition of "STATE", Whose State it is, What kind of State it is? Without this answer i would not spontaneously devote my head upon it. 

 

৫০০ গুলিসহ আটক দুই পুলিশ এবং কিছু প্রশ্নবোধক চিহ্ন

বিডিনিউজ২৪.কম এর ওয়েবসাইট সহ প্রায় সব জাতীয় পত্রিকায় একটি খবর মোটমুটি গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। তা হচ্ছে, ঢাকা শহরের এক জায়গা থেকে “৫০০ রাউন্ড গুলিসহ ২ পুলিশ আটক” হয়েছেন।

খবরটি আদতে প্রথমে সাদা চোখে খুবই নিরীহ গোছের মনে হয়। তবে যেহেতু এই আটক হওয়া পুলিশ দুইজন একটি বিশেষ অঞ্চল হতে এবং যেহেতু তারা একসময় সশস্ত্র সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন এবং যেহেতু তারা বৃহৎ জাতিসত্তা বহির্ভূত অন্য জাতিসত্তার সদস্য তাই এই খবরটির অন্য একটি ডাইমেনশন সৃষ্টি হয়।

বিডিনিউজ২৪.কম লিখেছে, “গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কাফরুল থানা পুলিশ তাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের কাছে ৫০০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি পায়”। দুইজন সাধারণ পুলিশ সদস্য ঢাকার রাজধানীতে ১০০ নয় ২০০ নয় ৫০০ গুলি সংগ্রহ করেছে এবং তা পাচারের উদ্যোগ নিচ্ছে তা কেমন জানি অবিশ্ব্যাস্য মনে হয়। যদি বিশ্বাসই করি তবে এত বেশী পরিমাণ গুলি তারা কীভাবে সংগ্রহ করলো? তারা কি পুলিশের গোলাবারুদ শাখা হতে তা সংগ্রহ করেছে? যদি তা করে থাকে তবে, পুলিশের গোলাবারুদ সংরক্ষণ ডিপার্টমেন্ট কি ঘাস খেয়ে থাকে? তারা কোথায় যায় এত গুলি গোলাবারুদ সংরক্ষণ ডিপার্টমেন্ট থেকে পাচার হতে?যেখানে একটি গুলির হিসাবও প্র্রতিদিন নেয়ার বিধান রয়েছে নিরাপত্তা প্রশাসনে সেখানে তারা এত পরিমাণ গুলি কীভাবে সংগ্রহ করেছে তা আমার মাথায় আসছে না, একদম মিলাতে পারছিনা। এসব জিনিস অফিসের বাইরে নিয়ে বাড়িতে আনা তাও কেমন জানি সন্দেহজনক ঠেকে।
বিডিনিউজ২৪.কম লিখেছে “তারা মিরপুর ১৪ নম্বরে পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কর্মরত ছিলেন”। আমার অবশ্য জানা নেই পুলিশের এই ডিপার্টমেন্টের কী কাজ। তবে তাদের কাজ যাই-ই হোক, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেন্দ্রীয় দপ্তর হতে এত বেশী পরিমাণ ‘গুলি’ হারিয়ে যাওয়াকে কিন্তু স্বাভাবিক মনে করা ঠিক হবে না।

আর এত পরিমাণ একে47 রাইফেলের গুলি ঢাকায় দুইজন পুলিশ অন্য কোনো মাধ্যম হতে যদি সংগ্রহও করে থাকে তবে তাও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। বাংলাদেশের রাজধানী অঞ্চল ঢাকার মতো নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বেষ্টিত এলাকায় এত অধিক পরিমাণ গুলি তারা কোথা থেকে সংগ্রহ করেছে তাও এখানে আলোচনায় আনা প্রয়োজন। যদি এটাই সত্য হয় যে তারা অন্য উৎস থেকে এসব সংগ্রহ করেছে তবে এই ব্যর্থতা কিন্তু সরকারকে নিতে হবে।

এসব প্রশ্ন এখানে আনার কথা এই জন্য বলা হচ্ছে কারণ, কেন জানি মনে হয় এই ঘটনা হচ্ছে একটি সাজানো নাটক। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাকে সমাধান না করার জন্য হয়তো এমন এক গভীর চক্রান্ত।
আমার এই বক্তব্যের বিপক্ষে যদি কারো কোনো ব্ক্তব্য থাকে তবে তা প্রকাশ করলে খুশী হবো। এমনকি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের যদি কোনো যুক্তি থাকে তাও তাদের জানানো প্রয়োজন। শুধু ভাড়া বাসা থেকে গুলিসহ গ্রেপ্তার করার পরে তাদেরকে সংবাদ মাধ্যমে এনে তা ফলাও করে প্রচার করেই তাতে ক্ষান্ত থাকলে কিন্তু তা প্রশ্নবোধক থেকেই যাবে।


পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নানামুখী কৌশল নির্ধারণ করা হয় এবং সরকার পার্বত্য সমস্যাকে সমাধানের জন্য উদ্যোগ না নিয়ে সবসময় নানামূখী চক্রান্ত চালায় বলেই আমাদের এই চিন্তার উদয় হচ্ছে। সরকার নিছক ‘আটক করে’ ক্ষান্ত হবে নাকি এর সঠিক উত্তর দেবে তার উপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করছে।
চাকমা ভাষায় একটি প্রবাদ বাক্য হচ্ছে,”সিবিদি হেনেই জিল ঘা অহলে। দোই পিলে দ্যালেও দর গরে”। তার মানে হচ্ছে, “চুন খেয়ে জিহ্বায় ঘা হলে দই এর হাঁড়ি দেখলেও ভয় হয়”। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের হচ্ছে সেই অবস্থা।
বারবার সরকারের নানা আশ্বাস প্রদানের পর বিশ্বাস ভঙ্গ করে সেই আশ্বাসে চুনকালি লেপন করার কারনে সরকারের ভালো উদ্যোগও পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণকে বাঁকা চোখে দেখতে হয়।

উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং উদ্যাগ সফল করার মধ্যে পার্থক্য

কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা এবং উদ্যোগকে সফল করার মধ্যে পার্থক্য করার জন্য কবি রবি ঠাকুরের লেখা থেকে একটি উদ্ধৃতি দিই-

 "শিক্ষ্যাসমস্যা" নামক একটি প্রবন্ধে তিনি বলছেন. " ... তিব্বতি মনে করে যে, লোক ভাড়া করিয়া তাহাকে দিয়া একটা মন্ত্রলেখা চাকা চালাইলেই পুণ্যলাভ হয় তেমনি আমরাও মনে করি, কোনোমতে একটা সভা স্থাপন করিয়া কমিটির দ্বারা যদি সেটা চালাইয়া যাই তবেই আমরা ফললাভ করিব।বস্তুত সেই স্থাপন করাটাই যেন লাভ।"

এরপর তিনি নিজের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে বলছেন : "আমরা অনেকদিন হইল একটা বিজ্ঞানসভা স্থাপন করিয়াছি, তাহার পরে বৎসরে বৎসরে বিলাপ করিয়া আসিয়াছি- দেশের লোকে বিজ্ঞান শিক্ষায় উদাসীন। কিন্তু একটা বিজ্ঞানসভা স্থাপন করা এক, আর দেশের লোকের চিত্তকে বিজ্ঞানশিক্ষায় নিবিষ্ট করা আর।সভা ফাঁদিলেই তাহার পরে দেশের লোক বিজ্ঞানী হইয়া উঠিবে এরূপ মনে করা ঘোর কলিযুগের কল-নিষ্ঠার পরিচয়।"

এক লেখায় বোধহয় তিনি বলেছিলেন, আমরা আরম্ভ করি শেষ করিনা ... ... ...।

এই উদ্ধৃতি দেয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরাও মনে করি আমরা যেহেতেু একটি কাজ শুরু করেছি এবং তা সবার ভালোর জন্য সেহেতু আমাদের এই ভালো কাজের পেছনে হুড়হুড় করে সবাই আসবে, সবাই ভালো কাজকে প্রশংসা করবে .... .... ।
কিন্তু আসলে হয় তার উল্টো। আমরা কাজ শুর করি খুব উৎসাহ দিয়ে এবং মাঝখানে এসে আমরা 'আনুধোর' দেখি। আমরা হতাশ-নিরাশ  এবং পরে বিলাপ করতে থাকি শেষে 'ভালো কাজ" করা থেকে ইতি দিয়ে নিজের ভালোর জন্য জানপরান সঁপে দিই।
এই বৈশিষ্ট্য যেমন রয়েছে আমাদের সাধারণ সকলের  মধ্যে তেমনি আমরা যারা সমাজের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি তাদের মধ্যেও।
অথবা রবীন্দ্রনাথ যেমন বলেছেন, "দেশের লোকে বিজ্ঞান শিক্ষায় উদাসীন" এই উপসংহার টেনে নিজেকে প্রবোধ দেয়ার সর্বতো চেষ্টায় নিরত থাক
মূলতঃ এটাই সত্য যে, আপনি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সেই উদ্যোগ সফলও করতে হবে আপনাকে।এবং কিভাবে সফল করবেন তার কৌশল নির্ধারণ করাও তো আপনারই দায়িত্ব!
'মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন' এই মন্ত্র যদি আপনার থাকে কোনো কাজ হাতে নেয়ার ক্ষেত্রে তবে আপনি সফল হবেনই। মাও সেতুঙ যেমন বলেছিলেন, বোকা বুড়োর মতো হতে হবে, যে পাহাড় সরিয়েছিলো, যাকে দেবতারাই সহযোগিতা করেছিলো পাহাড় সরাতে! মাও সেতুঙ অন্ধ ভক্ত ছিলেন সেই দেবতাদের ।

Thursday, October 25, 2012

KALPANA CHAKMA WILL NEVER DIE: MAKE THE INQUIRY REPORT PUBLIC

KALPANA CHAKMA WILL NEVER DIE: MAKE THE INQUIRY REPORT
PUBLIC
By Mithun Chakma, General Secretary, Democratic Youth
Forum


FLASH BACK
On the night of 11 June, 1996. Scene: New Lalyaghona
village, Marishya, Rangamati. Barely 7/8 hours were to
go before the voting for the seventh National
Parliamentary Elections began. Earlier in the day
Kalpana Chakma had taken part in exhaustive election
campaign for her candidate. She felt tired and soon
dipped into a deep sleep. What was she dreaming in her
sleep? A dream dreamt by each and every Jumma? A
sudden, shrill and harsh voice made her awoke: "Who
are in the house? Come out." In pure Bangla the voice
spoke. It was past midnight, about 1.30 a.m. to be
exact. The sounds of the boots of the soldiers were
tearing the stillness of the night apart.

Mrs. Bandhuni Chakma, Kalpana Chakma's widowed mother,
got out of the bed and opened the door, her whole body
trembling in fear. Then one by one came out: Kalpana
Chakma, her two brothers, Khudhiram and Kalindi Kumar,
and Kalindi Kumar's wife. The house was surrounded by
the marauding soldiers so that no one could escape. A
soldier flashed a torch on their faces and Kalindi
Kumar recognized Lt. Ferdous, who had visited their
house a few days back, and two VDP (Village Defence
Party) members - Nurul Haqe and Salah Ahmed. Amnesty
International in an Urgent Action issued on 1st July
wrote: "Six or seven security personnel in
plainclothes, believed to be from Ugalchari army camp
(actually Lieut. Ferdous was commander of Kojoichari
Army camp), are reported to have entered the home of
Kalpana Chakma in New Lallyaghona village, Rangamati
district in the early hours of 12 June. Kalpana Chakma
and two of her brothers were forcibly taken from their
home, blindfolded and with their hands tied."

What happened after that? Members of the Ain -o-
Salish Kendra (ASK), a Bangladeshi human rights
organisation, visited the place of occurrence after
the incident. In their report they said, “They (army)
took Khudiram near a lake and told him to step into
the lake. As soon as he went down in the lake, there
was an order to fire bullet on him. Out of fear
Khudiram took shelter in the water and with a fearful
swimming of some minutes he managed to take shelter in
the house of one neighbour called Lamba, but without
clothes in his body. The armed personnel fired at him
but he managed to flee without being hurt. In the
meantime the armed personnel took Kalpana Chakma and
her brother Kalindi Kumar blindfolded. After hearing
the firing he (Kalindi Kumar) tried to run to flee
from them, and he managed. When he was fleeing he
heard two firings and heard that his sister Kalpana
Chakma was screaming.” In an interview Kalicharan
(Kalindi Kumar) said “They shot at me and when I ran I
could hear Kalpana crying out ‘Dah Dah Mare Baja"
(Brother, brother save me!).

Dear readers, please don't mistake it for a
Shakespearean tragedy. It's real life in Chittagong
Hill Tracts.

WHY WAS SHE ABDUCTED?
Kalpana Chakma is a combination of an indigenous
political activist, a women leader and a human rights
defender. She was the organising secretary of the Hill
Women's Federation, a platform for the Jumma women in
Chittagong Hill Tracts. She is an excellent organiser
and played a very important role in organising its
first central conference in Khagrachari in 1995. The
Daily Star reporter Morshed Ali Khan, who visited
Kalpana Chakma's house after the incident, wrote:
‘Local youth said that Kalpana, a student of BA at the
local college, was always a strong and vocal activist
for the cause of the Chakma people and she regularly
attended conferences, discussions at the national
level and played a prominent role in this respect’.
KALPANA CHAKMA WILL NEVER DIE: MAKE THE INQUIRY REPORT
PUBLIC
By Mithun Chakma, General Secretary, Democratic Youth
Forum


FLASH BACK
On the night of 11 June, 1996. Scene: New Lalyaghona
village, Marishya, Rangamati. Barely 7/8 hours were to
go before the voting for the seventh National
Parliamentary Elections began. Earlier in the day
Kalpana Chakma had taken part in exhaustive election
campaign for her candidate. She felt tired and soon
dipped into a deep sleep. What was she dreaming in her
sleep? A dream dreamt by each and every Jumma? A
sudden, shrill and harsh voice made her awoke: "Who
are in the house? Come out." In pure Bangla the voice
spoke. It was past midnight, about 1.30 a.m. to be
exact. The sounds of the boots of the soldiers were
tearing the stillness of the night apart.

Mrs. Bandhuni Chakma, Kalpana Chakma's widowed mother,
got out of the bed and opened the door, her whole body
trembling in fear. Then one by one came out: Kalpana
Chakma, her two brothers, Khudhiram and Kalindi Kumar,
and Kalindi Kumar's wife. The house was surrounded by
the marauding soldiers so that no one could escape. A
soldier flashed a torch on their faces and Kalindi
Kumar recognized Lt. Ferdous, who had visited their
house a few days back, and two VDP (Village Defence
Party) members - Nurul Haqe and Salah Ahmed. Amnesty
International in an Urgent Action issued on 1st July
wrote: "Six or seven security personnel in
plainclothes, believed to be from Ugalchari army camp
(actually Lieut. Ferdous was commander of Kojoichari
Army camp), are reported to have entered the home of
Kalpana Chakma in New Lallyaghona village, Rangamati
district in the early hours of 12 June. Kalpana Chakma
and two of her brothers were forcibly taken from their
home, blindfolded and with their hands tied."

What happened after that? Members of the Ain -o-
Salish Kendra (ASK), a Bangladeshi human rights
organisation, visited the place of occurrence after
the incident. In their report they said, “They (army)
took Khudiram near a lake and told him to step into
the lake. As soon as he went down in the lake, there
was an order to fire bullet on him. Out of fear
Khudiram took shelter in the water and with a fearful
swimming of some minutes he managed to take shelter in
the house of one neighbour called Lamba, but without
clothes in his body. The armed personnel fired at him
but he managed to flee without being hurt. In the
meantime the armed personnel took Kalpana Chakma and
her brother Kalindi Kumar blindfolded. After hearing
the firing he (Kalindi Kumar) tried to run to flee
from them, and he managed. When he was fleeing he
heard two firings and heard that his sister Kalpana
Chakma was screaming.” In an interview Kalicharan
(Kalindi Kumar) said “They shot at me and when I ran I
could hear Kalpana crying out ‘Dah Dah Mare Baja"
(Brother, brother save me!).

Dear readers, please don't mistake it for a
Shakespearean tragedy. It's real life in Chittagong
Hill Tracts.

WHY WAS SHE ABDUCTED?
Kalpana Chakma is a combination of an indigenous
political activist, a women leader and a human rights
defender. She was the organising secretary of the Hill
Women's Federation, a platform for the Jumma women in
Chittagong Hill Tracts. She is an excellent organiser
and played a very important role in organising its
first central conference in Khagrachari in 1995. The
Daily Star reporter Morshed Ali Khan, who visited
Kalpana Chakma's house after the incident, wrote:
‘Local youth said that Kalpana, a student of BA at the
local college, was always a strong and vocal activist
for the cause of the Chakma people and she regularly
attended conferences, discussions at the national
level and played a prominent role in this respect’.

On 19th March 1996, an incident occurred in Kalpana’s
village. ASK in its report said, ‘Villagers told us
that on 19th March1996, 7 Chakma houses were burned
and villagers were abused by the Bengal Regiment’. On
23 July the Janakantha, a Bengali language daily
published from Dhaka, quoted a Hill Students Council
leader saying "Kalpana Chakma vehemently protested
against the incident." He told the Janakantha that
Kalpana Chakma squarely blamed the army officer for
the arson attack and entered into a heated debate with
him. He expressed the fear that she might have been
kidnapped because of that debate. The army officer who
had burned down the Chakma houses and with whom
Kalpana Chakma exchanged heated words was none other
than Lt. Ferdous himself. This took place at Kalpana
Chakma's house few days before her abduction.

Amnesty International believes her abduction has
something to do with the parliamentary election in
which Kalpana Chakma had taken part as a campaigner
for an independent candidate. Amnesty wrote, ‘It has
been suggested that her abduction may have been linked
to her support of a candidate representing the
interests of indigenous people in the parliamentary
elections that took place in Bangladesh on June12.’

PROTESTS
Storms of protest swept the CHT. In Marishya, Kalpana
Chakma's home county, general strike was observed.
While the Jummas supported the programme whole
heartedly, some sections of the Bengali settlers
attacked a rally of the picketers and shot dead
16-year old Rupon Chakma. The settlers also hacked to
dead Sukesh Chakma, Monotosh Chakma and Samar Chakma,
who were on their way to Baghaichari bazaar to take
part in the picketing.

Protests were also held in other parts of the country
including capital Dhaka. On 27 June 1996, HWF staged a
symbolic hunger strike in front of the national press
club in Dhaka. Mass rallies were also organised by the
National Committee for the Protection of Fundamental
Rights in CHT. All the progressive political parties
and human and civil rights organisations of the
country joined the protest. The role of the print
media was impressive. Because of their unstinted
support, the incident could attract national and
international attention. Here we mention some
newspaper headlines published at the time on Kalpana
Chakma.

The daily star: 1 July: DU students urge govt. to
rescue Kalpana Chakma; 5 July
Abduction of Kalpana Chakma: Home Ministry probe
demanded; The Independent: 15 July, 1996: 12 human
rights bodies call to rescue Kalpana Chakma; Bhorer
Kagoj: 6 July: Hill Women’s Federation rally: It is a
mystery that there is no govt. effort to rescue
Kalpana; Janakantha: 21 July, 1996: Editorial: rescue
Kalpana; Bhorer Kagoj: 23 July, 1996: Demands for
discussion on Kalpana in Parliament; Sangbad: 19
august, 1996:
Kalpana’s mother tells: HR Commission lying, I want my
daughter back.

ATTEMPT TO COVER UP
From the very beginning, there was an attempt to cover
up the incident. Initially, the army termed the
incident as a 'love affair". However, they backtracked
later on and flatly denied army's involvement in the
abduction. When they failed to sweep the incident
under the rug, they launched a vicious disinformation
campaign. The Chittagong Hill Tracts Commission in its
report Life is Not Ours, update 3, said that an NGO
named Bangladesh Human Rights Commission on 15th
August 1996 at a press conference declared that
Kalpana Chakma had been seen in the Tripura state of
India and that she herself plotted the abduction
incident. Agartala based Humanity Protection Forum
investigated the accusation in the area and by
interviewing many peoples they had come to the
decision that the statement of Bangladesh Human Rights
Commission is totally baseless and false. Kalpana
Chakma’s mother also in a press conference rejected
the BHRC’s statement and termed it as a `blatant lie’.

In a 9-page lengthy press release the Army's 24th
infantry Division, which is responsible for
coordinating the so-called counter-insurgency
operations in CHT, displayed its mastery over cooking
up stories. It questioned the authenticity of the
claim that Kalpana Chakma was kidnapped and suggested
that she might be hiding somewhere on her own accord
to support the unholy efforts of the Shanti Bahini and
to embarrass the government. In the same press
statement, the army claimed that Kalpana Chakma had
been trying to participate in the International
Women's conference in Beijing and that she might have
secretly left the country using her international
passport. The 24th Infantry Division also dropped
leaflets from helicopters announcing a reward of Taka
50,000 for information about the whereabouts of
Kalpana Chakma.

However, the Jumma people's organisations such as Hill
Peoples Council, Hill Student's Council and Hill
Women's Federation rejected the statement of the 24th
Infantry Division and demanded that the government
steps up efforts to find out Kalpana Chakma. They
refuted the claims made in the statement with forceful
and logical arguments thus frustrating its nefarious
attempt to create confusion about the kidnapping.

CONTROVERSIAL ISSUE?
Yet to the great surprise of all, the most damaging
remark about the abduction of Kalpana Chakma was made
by former guerrilla leader and Jana Samhati Samiti
president Santu Larma. When, after the closing of the
surrendering ceremony at Khagrachari stadium on 10
February 1998, the media persons asked him to comment
on the abduction of Kalpana Chakma and Logang
massacre, he said "these are all controversial
issues". (Daily Janakantha, 11 February 1998). It is
still an enigma as to why Mr. Larma had to put his
reputation at stake by making such a comment. Whatever
may be the reasons, the later events have turned out
that it is Mr. Larma who has become the most
controversial figure in the contemporary political
history of the CHT.

PROBE COMMITTEE
After months of protests and mounting international
condemnation, the government on 7 September 1996
constituted a three-member inquiry committee headed by
Justice Abdul Jalil. The other members are Sawkat
Hossain, Deputy Commissioner of Chittagong and Dr.
Anupam Sen, professor of Chittagong University.

The committee is reported to have submitted its
findings to the Ministry of Home Affairs a couple of
years ago, but the government is yet to make it
public. After the incident Kalpana Chakma's brother
Kalindi Kumar Chakma filed an FIR with the Baghaichari
police station. (Case number 12/6/1996#2). There is
allegation that the officer-in-charge registered the
FIR after dropping the army from it. Even then, the
police never acted on this FIR.

DOES LAW TURN ITS OWN COURSE?
When the members of the ASK Team asked whether Kalpana
will be rescued, the then DC of Rangmati District
replied, "Law will take its own course" and "Police
are investigating” After eleven years, the law seems
to have lost its course. The inquiry report has never
seen the light of the day and the culprits roam
scot-free. Lt. Ferdous, the mastermind behind the
kidnapping, is reported to have been promoted to the
rank of Major and posted back to Karengatoli army
camp, not far from Kalpana Chakma's village New
Lalyaghona. This amounts to an indigestible affront to
the human rights organisations and to those who
supported the demand that Lt. Ferdous should be
brought to justice.

CONCLUSION: MAKE THE REPORT PUBLIC
The present caretaker government of Dr. Fakruddin
Ahmed has taken many commendable actions to clear the
mess that was created by the previous partisan
governments. With regard to the Chittagong Hill
Tracts, it has not yet taken any major steps, apart
from withdrawing a few base camps, taking decision to
call the meeting of the CHT Ministry's advisory
committee and to reactivate the Task Force on the
rehabilitation of the Jumma refugees. We hope the
government would take a bold step to make the inquiry
report on disappearance of Kalpana Chakma public.
Making the report public does not require any money or
hard work. What it needs is just a decision. That's
all.

Vive for Hollande!

Mithun Chakma Jumma ‎'They failed because they did not start with a dream'- this is a quaotation of Shakespeare! i am amused that this is not a quotation of Great pla writer William Shakespeare but of Nicolas Shakespeare, the chief of the Daily Telegraph. And in France the Presidential election will go on. Presidential Socialist frontrunner Mr. François Hollande had picked up that quotation, reckoning perhaps playwri...te William Shakespeare's quotation, reported the newspapers. May be a murmuring soliloquay of Mr. Hollande recognising the Hero, Mr. Gabriel, of nicolas shakespeare's novel The vision of Elena Silva, from which Mr. Hollande noted down the quotation. Gabriel, in the novel, is a Maoist, who is going to fight again perhaps for 'a dream' after touching finishing line of failure, by his comrade-in-arms, with a new start. Vive for Hollande!

13th Years on after Kalpana Chakma

 Kalpana Chakma

Kalpana Chakma was a Woman leader of the Hill Women's Federation(HWF) a Chittagong Hill Tracts(CHT, based organisation in CHT.
She was vocal against army atrocities and also a good organiser.
She was abducted by BD army Lieutenant Mr. Ferdouse in 1996 on 12th June at midnight with the help of his souldier.
When the news apreadwide in the CHT the CHT ethnic people got angered and protested spontenously.
On 27th June when the people protesting the abduction the Bengali settlers killed 4 young people. there name is Rupan, Sukesh, Samar, Manatosh.
After heavy protest the incident got national and international support.
So the BD Govt. had to set up Judicial probe body to investgate the incident.
But after 13th years till now the BD Govt. did not even publish the the report.
And it is predicted that the said abductor still serving as an officer in the army.
We hope it will again get the national and international support so that the perpetrators get punishment.

Tajuddin Ahmed





Tajuddin Ahmed was really a great leader. But this is very much deplorable that he did not have his rewards. July 23, his 82nd birth anniversary, passed silently. I read only one write-up on him written by Mr. Shahnoor Wahid under the title 'Tajuddin Ahmed: The lonely warrior" which appeared on 24 July, 2007.
I have read the article with passion and emotion. If we deeply study the 1971 liberation war, we would see how he (Tajuddin Ahmed) led the nation towards victory.
Let's honour and recognise him. Thanks to Mr. Shahnoor Wahid for his write-up.

Homage to Quazi Nooruzzaman

Homage to Quazi Nooruzzaman

http://newagebd.com/newspaper1/archive_details.php?date=2011-05-08&nid=17972Admin

QUAZI Nooruzzaman was a real patriot. He was also a true friend of the people of the Chittagong Hill Tracts. He always tried to protect the interest of the CHT people. In 1999, he came to Khagrachari to attend a meeting organised by Hill Students Council. There he vehemently took stand for the Jumma people. In a meeting in Dhaka before the CHT accord was signed, he expressed his doubts of the outcome of the process. We pay our respect and also salute him from the depth of our heart. We lost a true friend.
Mithun Chakma

সংগঠনের কাজের ধরণ বর্তমানে কেমন হতে পারে

"... কাজের ধরণের মধ্যে থাকবে- চীনের জনগণের নম্রতা এবং বাস্তববাদিতা; চীনের কৃষক সমাজের সরলতা এবং কঠোর পরিশ্রমী মানসিকতা; ধীমানগণের মত অধ্যয়নের প্রতি ভালবাসা এবং চিন্তার গভীরতা; বিপ্লবীদের মত নমনীয়তা এবং ঠান্ডামেজাজ; বলশেভিকদের মত ধৈর্য ও একাগ্রতা।

দৈনন্দিন কাজে ঢিলেমি(সুবিধাবাদিতা) পরিহারের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। বর্তমানে আামাদেরকে  মনসংযোগবিহিীন নিয়মবদ্ধ যান্ত্রিক কাজের ধারা; বাক-বাগীশতা; ঔদ্ধত্য, আনুষ্ঠানিকতা, রুটিনবাদিতাসহ সকল ধরণের কাজের ধারা যা পার্টি এবং মিলিটারির চমৎকার ঐতিহ্যকে ধ্বংশ করে এ বিষয়ে সংগ্রাম করবে হবে।"- চৌন এন লাই এর ' How To Be A Good Leader' এর প্রবন্ধ হতে নেয়া।
নিপীড়িত জাতির অধিকার আদায়ের একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে সংগঠন বা পার্টি। সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী পার্টি-ই সংগ্রামকে সফলতার পথে নিয়ে যেতে পারে।  পার্টির তাত্ত্বিক ভিত্তিভূমির জনমুখীনতা, রণকৌশলের বাস্তবমুখীনতা এবং সঠিক সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতিই হচ্ছে লড়াইয়ে সফলতার মৌল চাবিকাঠি।  এখানে জোচ্চুরি- ফাঁকবাজির কোনো স্থান নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াই সংগ্রামের ক্ষেত্রেও আামাদের সবাইকে এই পথই অনুসরণ করতে হবে। রণনীতিগত-রণকৌশলগত এবং সাংগঠনিক কর্মপদ্ধতিগত দিক থেকে যে পার্টি যুগোপযোগি অবস্থান গ্রহণ করতে পারবে সে পার্টির নেতৃত্বেই লড়াই সংগঠিত হবে। এদিক থেকে  ব্যক্তির ভূমিকা নৈর্বক্তিক, সামষ্টিক কর্মকান্ড এবং তার ভূমিকাই মুখ্য।

চীন কেন মহান চীন? কেন চীন উন্নতির অগ্রযাত্রায় সাবলীল?

চীন মহান চীন

" ... ... মাও সেতুঙ বা চীনের কম্যুনিস্ট পার্টি সবসময় নীতি শিক্ষার উপর খুব বেশী জোর দেন।কি করতে হবে এবং কি করবে না এ সম্পর্কে শিশুকাল থেকেই সকলকে সচেতন করে দেয়াহয়। এই নৈতিকতার একটি উঁচু মানদন্ড আছে বলেই এরা দেশকে নানাভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরেছে।"


চীনে সর্বত্র বাস্তব কিছু করার জন্য কিছু বিষয়ে জোর দিয়ে শ্লোগান দেয়া হয় এবং তা কার্যকর করা হয় বাস্তবেই-

পাঁচটি জিনিসের উপর জোর দাও বলতে এরা বোঝায় - শোভনতা, সৌজন্য, নৈতিকতা, স্বাস্থ্য ও শৃঙ্খলাপরায়নতা।

চারটি সৌন্দর্য বলতে এরা বোঝায়- ভাষা, পরিবেশ, আচরণ ও মন।

তিনটি ভালবাসা হল- জনগণকে, সমাজতন্ত্রকে(আপনি একে আদর্শও বলতে পারেন), এবং মাতৃভূমিকে ভালবাসা।"

মাও সেতুঙের তিনটি মূল কথা-

১. তথ্য সংগ্রহ ও বাস্তব অনুসন্ধানের মাধ্যমে সত্য সংগ্রহ করা।শুধুমাত্র অধ্যয়ন নয়, বাস্তব জ্ঞান অর্জন করা এবং বাস্তবেই তা কার্যকর করা এবং বাস্তবেই অধ্যয়ন জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে তার সঠিকতা বিচার করা।

২. জনগনই ইতিহাসের চালিকাশক্তি। জনগণের উপরই নির্ভর করতে হবে সকলকিছুতে এবং আমাদের একাত্ম হতে হবে জনগণেরই সাথে এবং জনগণেরই প্রকৃত মঙ্গলের জন্য।

৩. স্বনির্ভরতা ব্যক্তিক ক্ষেত্রে, সমাজের ক্ষেত্রে এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও। নিজের শক্তির উপর নির্ভর করেই এগুতে হবে, নীতি কৌশল ঠিক করতে হবে, এগিয়ে যেতে হবে।

চীন ঠিক করতে পেরেছে তাদের লক্ষ্য এবং বৈশিষ্ট্যকে। তারা সুস্থির করতে পেরেছে তাদের দর্শনকে। তারা যা বলে তাইই করে থাকে। যা তারা আইনে পরিণত করে তাই ই তারা মানার চেষ্টা করে। সর্বোপরি তারা তাদের সকল কাজকে পরিণত করতে পেরেছে আন্দোলনে! তারা শুধু উদ্যোগ নেয় না। তারা শুধু কল্পনা করে না। তারা শুধু পরিকল্পনা করেই ক্ষান্ত হয় না। তারা বাস্তবে তার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে। তারা বাস্তবেই তা প্রয়োগ করে। কোনো দেশ বা জাতি বা সংঘবদ্ধ শক্তিকে অগ্রযাত্রায় শামিল হতে হলে তাকে অব্শ্যই একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। সেই লক্ষ্য অর্জনে বাস্তব কাজ তাকে করতে হবে। বাস্তব কাজের মাধ্যমেই তার লক্ষ্য অভিমূখী যাত্রার সফলতা ব্যর্থতা বিচার করে তাকে নতুন কৌশল ঠিক করে এগিয়ে নিতে হবে তার অগ্রযাত্রাকে।
এ ছাড়া সম্ভব নয় এগিয়ে যাওয়া। উদ্যোগ ব্যক্তিগত, কিন্তু আন্দোলন হচ্ছে শত হাজারের। শত হাজার লক্ষ কোটিকে সেখানে সম্পৃক্ত হতে হয়।
সেই আন্দোলন গড়ে না তুলতে পারা পর্যন্ত তার কোনো ফল বা উপযোগিতা বাস্তবে নেই।

(লেখাগুলো্ বলা যায় চীন সংক্রান্ত একটি বই থেকে সংগৃহীত তবে বাক্য বিন্যাস পরিবর্তন করে পুনঃলি
খিত)

জাতিসত্তার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সাংস্কৃতিক সংগ্রামও এক অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ন সংগ্রাম


জাতিসত্তার অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে সাংস্কৃতিক চেতনার সংগ্রামও এক অপরিহার্য গুরুত্বপূর্ন সংগ্রাম।আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ বহু বছর ধরে লড়াই সংগ্রাম করছি। এই লড়াই এক নিরন্তর প্রক্রিয়া হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এই লড়াই কি শুধু রাজনৈতিক অধিকারের লড়াই? এই লড়াইয়ে সাংস্কৃতিক চেতনার লড়াইয়ের ভূমিকা বা অবস্থান কোন পর্যায়ে? এই বিষয়টি নিয়ে সংক্ষেপে নীচে কিছু আলোকপাত করার চেষ্টা করা হলো।
এ বিষয়ে লেখার আগে প্রথমে হয়তো কয়েক লাইনে ‘সংস্কৃতি’ এই শব্দটির সাধারণ সংজ্ঞা নিয়ে একটু কথা বলা প্রয়োজন মনে করছি। অক্সফোর্ড ডিকশনারী অনলাইন সংস্করণের এই শব্দটির সংজ্ঞা দিতে বলা হয়েছে, ‘the ideas, customs, and social behaviour of a particular people or society”। ইংরেজী culture শব্দটি এসেছে ল্যাটিন এবং ফ্রেঞ্চ ভাষা থেকে। মধ্যযুগের ইংরেজীতে এই শব্দটিকে ‘চাষাবাদ’ অর্থে বোঝানো হতো। পরে তা রূপ নেয় ”cultivation (of the mind, faculties, or manners)”-এ। বর্তমানে এই শব্দটিেযর অর্থ হচ্ছে আমরা আমাদের জীবনাচরণে যা করে থাকি যে সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ আমাদের রয়েছে তাইই বোঝায়।বাংলায় সংস্কৃতি অর্থে ইংরেজী culture শব্দটিকে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়ে থাকে। তবে যখন ‘সাংস্কৃতিক’ শব্দটি ব্যবহার করা হয় তখন সংকীর্ন অর্থে এই শব্দটিকে ‘নাচ-গান-নাটক-ছবি তৈরী করা’ ইত্যাদি অর্থেও বহুলভা্বে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। সাধারণত লোকজনের কাছে ‘সাংস্কৃতিক’ শব্দটি এই বহুলভাবে ব্যবহৃত অর্থেই বোঝানো হয়ে থাকে। তবে আমরা ‘সংস্কৃতি’ এবং ‘সাংস্কৃতিক’ এই শব্দকে “‘the ideas, customs, and social behaviour of a particular people or society”-এই অর্থেই বোঝানোর চেষ্টা করবো।
কোরিয়ানরা অনেকদিন জাপানীদের শাসনাধীনে ছিল। এই অধীনতার নাগপাশ থেকে বেরিয়ে আসতে তারা রাজনৈতিক সংগ্রামের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক সংগ্রাম করেছিল। এই সাংস্কৃতিক সংগ্রাম মানে নাচ-গান নয়, বরং চিন্তা-চেতনা-আদর্শের সংগ্রামই প্রাধান্যে ছিল।১৯২২ সালের দিকে তাদের একজন শিশুদের নিয়ে কাজ করেন। আগে সমাজে শিশুদের একঅর্থে শুধু ছোটো/অবুঝ এভাবে দেখা হতো।তাদেরকে অবজ্ঞাও করা হতো। তিনি প্রথমে শিশুদের মানসিক-বৌদ্ধিক বিকাশের জন্য শিশুদের প্রতি সমাজের পূর্ব মানসিকতা বদলানোর আহ্বান জানান।শিশুদের উপরই যে জাতির ভবিষ্যত নির্ভর করছে এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করেন। তিনি সারা কোরিয়ায় ঘুরে শিশুদের বিষয়ে জনগণের মাঝে সচেতনতা আনার চেষ্টা করেন।বছরের একটি দিন শিশু দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেন। শিশুতোষ প্রকাশনাও তিনি প্রকাশ করেন।তার এই কার্যক্রম সারা কোরিয়ায় এক আন্দোলনে রূপ নেয়। তবে জাপান শাসকগোষ্ঠি তার এই কাজকে ভালোচোখে দেখেনি। কোরিয়া স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কোরিয়ার জনগণ স্বাধীনভাবে এই দিবসটি পালন করতে পারেনি।স্বাধীন হবার পর তারা আবার এই দিবসটি পালন করতে শুরু করে।কোরিয়ার বর্তমান অর্থনৈতিক-সাংস্কৃতিক উন্নতির পেছনে এই আন্দোলনের বুনিয়াদী ভূমিকা রয়েছে।
যে সকল জাতি-সমাজ আজ পর্যন্ত স্বাধিকার-অধিকার পেয়েছে তার পেছনে এই ধরনের সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন বিরাজমান ছিল।
ভারতবর্ষে যারা প্রথমদিকের বিপ্লবী ছিলেন তারা এই সাংস্কৃতিক সংগ্রাম শুরু করেছিলেন প্রথমে ‘শরীরচর্চা-কুস্তি-ব্যায়াম’ ইত্যাদি দিয়ে।ভারতবর্ষীয় বিপ্লবীরা এটা দিয়ে শুরু করেছিলেন কারন, তারা প্রথমেজনগণের মধ্যে এই সাহস আনতে চেয়েছিলেন যে, ভারতের জনগণও এই বেনিয়া-ফারাঙিদের বা ইংরেজেদের মতো সবকিছুতে সমকক্ষ হতে পারে।এমন কি শক্তি-সাহসেও।অনুশীলন সমিতির ইতিহাস নিয়ে জীবনতারা হালদারের বইয়ে লেখা রয়েছে,”১৯০০ সালের বহু পূর্বের কথা।সেই কালে “ভীরু কাপুরুষ” বাঙালীকে সকলে ঘৃণা করিত।এই কলঙ্ক মোচনের জন্য কলিকাতার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিভিন্ন স্থানে ‘আখড়া’ স্থাপন করিয়াছিলেন।তাহাতে প্রধানতঃ ডন, বৈঠক, মুগুর, কুস্তি প্রভৃতি ব্যায়াম শিক্ষা দেয়া হইত।”
১৯০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অনুশীলন সমিতি। আদর্শ যুব সমাজ গঠনই ছিলো এই সমিতির লক্ষ্য।এই লক্ষে তারা এলাকায় এলাকায় ক্লাব গঠন করেছিলেন, ব্যায়ামাগার স্থাপন করা হয়েছিল।
শরীরচর্চার পাশাপাশি মানসিক উন্নতির জন্য দেশ-বিদেশের বীরপুরুষদের জীবনচরিত,বিভিন্ন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনী সহ উৎকৃষ্ট বই পড়তে উৎসাহ দেয়া হত।নৈতিক উন্নতির জন্য সপ্তাহের একটি দিন একসাথেবসে Moral Class এর আয়োজন করা হত।জীবনতারা হালদার লিখছেন,”… প্রত্যহ নিয়মিত ব্যায়াম করিতে হইত, Moral Class প্রভৃতি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হইত,
সকল বিষয়ে স্বাবলম্বী হইতে হইত- খেলার মাঠ ঝাড়ু দেওয়া, পাঠাগারের বই রৌদ্রে দেওয়া ও ঝাড়া,আলমারী সাফ করা, অফিসঘর কলি দেওয়া, এমনকি ড্রেন সাফ করা, জঞ্জাল ফেলা, নৌকায় দাঁড় টানা,হালধরা, দীর্ঘপথ ভ্রমণ, সাইকেল চালানো ইত্যাদি।”
পৃথিবীর দেশে দেশে বা নানা জাতির মধ্যে এই সাংস্কৃতিকচেতনার সংগ্রামের ধারা বা স্তর এক নয় ; কিন্তু তাদেরকে প্রথমেসাংস্কৃতিক-বৌদ্ধিক-আদর্শিক সংগ্রামই শুরু করতে হুয়েছিল। ফরাসী বিপ্লবের পূর্বেও তো এক বিরাট বৌদ্ধিক লড়াই সংঘটিত হয়েছিল!
চীনবিপ্লবের আগে চীনে এসেছিল এক বিরাট জাতিগত চেতনার জাগরণ। চীনকে এগিয়েনিতে এই সময় চীনের যারা সচেতন ছিলেন তারা শত শত ব্যক্তিকে দেশের বাইরে উন্নত সংস্কৃতির সমাজ ইউরোপে পাঠিয়েছিল যাতে তারা ভালো সৃস্কৃতিকে আয়ত্তকরতে পারে এবং পরে চীনে এসে তারা যাতে চীনের উন্নতিতে ভুমিকা রাখতেপারে।এই উদ্যোগ তারা সচেতনভাবেই নিয়েছিলেন। চীনা একটি প্রবাদে বলা হয়েছে-একটি দেশ সম্পর্কে হাজারবার শোনার চেয়ে একবার নিজ চোখে সেই দেশ দেখে আসা অনেক ভালো।একজন চীনা বুদ্ধিজীবী বলেছেন , জাতিগঠনের জন্য তিনটি উপাদানের প্রয়োজনঃ(ক) দ্তিহিক বল বৃদ্ধি। (খ) জ্ঞানের উন্মেষ। (গ) নৈতিক চরিত্রশক্তি।
চীনের মাহন সর্বহারা সাংস্কৃতিক বিপ্লব। বিরাট এক দক্ষযজ্ঞ। মহান এক কর্মযজ্ঞ। যার অভিঘাতে গোটা চীন থরথর করে কেঁপে উঠেছিল। যার প্রভাব সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছিল। যার লক্ষ্য ছিল মহান সমাজতান্ত্রিক এবং সাম্যবাদ অভিমুখী এক চীন। যা সফল হতে পারেনি, তবে যা আজকের এই পুঁজির অধীন চীনকে উচ্চ শিখর অভিযানের এক অন্যতম অভিযাত্রীরূপে দৃশ্যমান হতে দেখা যাচ্ছে।তা সম্ভব হচ্ছে তারই কল্যাণে। আজকে পুঁজিবাদী পথবাহী চীনের নেতৃত্ব এই মাহন সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কর্মযজ্ঞকে ঝেরেবংশে নিকুচি করার চেষ্টা করে। কিন্তু এমন একটি মহান কর্মকান্ডের অভিজ্ঞতা তারা পেয়েছে এলই তারা জানতে পেরেছেন জাগরণের শক্তি কত ভয়াবহ এবং কত মহীয়ান! চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের নানা দুর্বলতা সাদা চোখে দৃশ্যমান। তবে তার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রভাবই কিন্তু আজকের এই চীন তা কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন। এই দক্ষযজ্ঞ যদি না চলতো তবে চীন তার শক্তিকে চীনতে পারতোনা, শক্তিকে কাজে লাগানো যোগ্য হতোনা।বাস্তবে যখন তাদের নেতৃত্ব জনগণের সাথে থেকেছে, মহান সাংস্কৃতিক বিপ্লবের কারনে তাদের ‘শাস্তিস্বরূপ’ শারীরিক শ্রমের কাজে, শ্রমিকে হিসেবে, কঠোর পরিশ্রমের কাজে, গ্রামে থাকতে হয়েছে তখনই তারা বুঝেছিলেন চীন কোথায় ছিলো এবং যারা প্রতিভাময় নেতৃত্ব তারা সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছিলেন সামনের চীনকে জাগাতে হলে কী ভুমিকা নিতে হবে।তারা চীনকে জাগিয়েছে পুঁজির অধীন এক ভারবাহী হিসেবে পার্থক্য শুধু এটাই।
অন্যান্য জাতি বা দেশের সমৃদ্ধি বা উন্নতির পেছনে যেমনসাংস্কৃতিক-আদর্শিক লড়াই মুখ্য ভুমিকা পালন করেছে তেমনি আমাদেরকেও যদিলড়াইয়ে বিজয় অর্জন করতে হয় তবে আমাদেরকেও সেই সাংস্কৃতিক সংগ্রাম করতেহবে।শেষে এটাই বলা যায়, সাংস্কৃতিক-সামাজিক বুনিয়াদী লড়াই ব্যতীতস্বাধীকার বা রাজনৈতিক অধিকারের লড়াই যেন build a castle in the air!
তবে সঠিক রাজনৈতিক আন্দোলনের দিকনির্দেশনা অথবা রাজনৈতিক চেতনা সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক আন্দেলনই সমাজে নতুন কিছু জোয়ার আনতে সক্ষম হয়্।

সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষাঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসংগ-১৯৪৭ সাল

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষা তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ইতিহাস একটি জাতি বা জাতিসত্তা তথা জাতিসমষ্টিকে নানাভাবে প্রভাবিত কর...