গত ৫মে চরম মৌল ভাবাদর্শীয় ধর্মভিত্তিক সংগঠনসমূহের জোট হেফাজতে ইসলাম
ঢাকা অবরোধ পালন করে। এ সময় তারা ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা শাপলা চত্বরে
রাতে অবস্থান নেয়। তাদের সংখ্যা প্রায় একলক্ষের উপর হবে।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গভীররাতে উক্ত স্থান থেকে তাদের তুলে দিতে গভীররাতে অভিযান চালায়। তারা প্রথমে রাতে উক্ত এলাকার বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়। এরপরে গভীররাতে তারা তাদের কথায় সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল ইত্যাদি ব্যবহার করে। ৫মে সকাল থেকে ৬মে ভোররাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে হেফাজতের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আইনর্শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে মোট ১১ জন মারা যায়। তবে হেফাজতে ইসলাম এই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি বলে দাবি করে। তাদের দাবি শাপলা চত্বরের হামলায় মোট ২৫০০এর উপর মারা যায়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, স্বাধীন বার্তা মাধ্যমের মতে যারা আহত হয়ে পরে মারা গিয়েছে তাদের সংখ্যা যোগ করে এই মৃত্যুর সংখ্যা কমবেশী ৫০ হতে পারে।
এই ঘটনা ঘটার পরে আমি ফেসবুকে এবং টুইটারে একটি উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করলে আমাকে নানাভাবে আক্রমণ করা হয়। সমালোচনা করা হয়। আমি যথাসম্ভব যুক্তি দিয়ে আমরা বক্তব্য এবং ৬মে দিবাগত রাতে শাপলা চত্বরে হামলা নিয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্ট করি।
বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক-টু্ইটারে যে বিতর্ক হয় আমি তার কিছু স্ক্রীনশট এখানে প্রদান করছি।
টুইটারে
আামার বক্তব্য
আমার অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা
নিচে তা তুলে ধরলাম-
UPDF OPENED THIER MASK: After BNP, Jamat & Hefazot, now anti CHT Accord group UPDF [United Peoples Democratic Front] also claimed that, on May 06, 2013, police made a massacre at the Motijhil, Dhaka. But media says, police destroy the illegal presence of fundamentalists with huge tolerance. [bbc.in/10g5h95]
Mithun Chakma, a top central leader of the UPDF gave this statement at the Twitter. He posted at least 8 tweets on this matter.
Early, after the CHT Accord, in December 02, 1997, UPDF became a strong supporter of BNP, especially Wadud Bhuiayan, the ex-MP & the Bengali settlers’ leader of the Khagrachori, CHT.
By: Adivasi Voice
স্ক্রীনশট
এর জবাবে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরলাম-
Mithun Chakma Jumma I am sharing my other comment- “পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বিষয়ে আমি যখন কথা বলি তখন একটি কথা বলি, পার্বত্য চট্ট্রগামে যতদিন সেসাশাসন থাকবে ততদিন বাংলাদেশের সামরিক শাসনের পাকচক্র থেকে মুক্তি নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন থাকা মানেই কয়েকবছর পর পর ‘জরুরী অবস্থা’ ‘অন্তবর্তীকালীন অবস্থা’ ইত্যাদির নাম করে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় বসবে। সুতরাং এখন বাংলাদেশ সরকারই ঠিক করবে তারা সামরিক শাসন চায় কি না চায়। চাইলে তারা পার্বত্য চট্টগামে সেনা শাসন জারি রাখতে পারে। কিন্তু এর পাল্টা তারা ভুগবে। আমরা পার্বত্য জুম্ম জনগণ শওকত ওসমান-নের ক্রীতদাসের হাসির মতো হেসে যাবো। এখনো শাপলা চত্বরের হত্যাকান্ড নিয়ে আমার সেই অবস্থান। প্রকৃতি বাড়াবাড়ি সহ্য করে না। এটা নিয়তিবাদী বা ধর্মীয়বাদী কথা নয়। আম ধর্ম নিয়ে বিশ্বাসের শুন্যে আছি।”
May 11 at 10:13pm · Like
Mithun Chakma Jumma ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে যারা ‘দেশপ্রেমিক’, ‘জয় বাংলা’পন্থী, ‘৭১এর’ পক্ষে’ ‘যুদ্ধাপারাধীদের বিচারের দাবিতে গলা ফাটান তারা আসুন আমার এই প্রশ্নের জবাব দিন।
May 11 at 10:13pm · Like
Mithun Chakma Jumma ২৫০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে হেফাজতের এই দাবি আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, এবং এখনো বিশ্বাস করি বলে মনে হয় না। কিন্তু এ পর্যন্ত আমি টিভিতে সরকারী কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকারে দেখেছি, হত্যাকান্ড নিয়ে কথা উঠলেই তাদের গলার পানি শুকিয়ে যায়। তারা ধোক গিলতে শুরু করেন। কেন? কেন?
May 11 at 10:14pm · Like
Mithun Chakma Jumma সবকিছুর একটা সীমা আছে। দেশপ্রেমের নামে ভন্ডামিরও বাড়াবাড়ি থাকা দরকার। কে দেশপ্রেমিক? কে? আওয়ামীলীগ? কীসের ভিত্তিতে দেশপ্রেমিক? লুটপাটের ভিত্তিতে? দেশকে দেশের সম্পদকে লুন্ঠনে খাঁটি কুশলী হিসেবে?
আমার অবস্থানের ব্যাখ্যা
আমি ভণিতা না করে আমার অবস্থানের যৌক্তিকতা তুলে ধরার জন্য নিচে আইনগত ব্যাখ্যা প্রদান করলাম।
কোড অব ক্রিমিনাল প্রোসিডিউর-১৮৯৮ এর তৃতীয় অংশের(Part-3) ৫ নং চ্যপ্টার বা অধ্যায়ের Arrest, Escape and Retaking -সংক্রান্ত অংশের ৪৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে-”
46.(1) In making an arrest the police-officer or other person making the same shall actually touch or confine the body of the person to be arrested, unless there be a submission to the custody by word or action.
(2) If such person forcibly resists the endeavor to arrest him, or attempts to evade the arrest, such police-officer or other person may use all means necessary to effect the arrest.
(3) Nothing in this section gives a right to cause the death of a person who is not accused of an offence punishable with death or with 1[ transportation for life].
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, একজন পুলিশ সদস্য কাউকে এরেস্ট করার সময় কীভাবে এবং বাধা পেলে কীভাবে কাউকে এরেস্ট করবেন।
উপধারায় খুবই খোলাসা করে বলা আছে, আইনের চোখে মৃত্যুদন্ডযোগ্য শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই আইনের কোনো ধারা-ই একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কারন হবার জন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা পুলিশকে ‘অধিকার’ বা ‘Rights’ প্রদান করেনি।
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গভীররাতে উক্ত স্থান থেকে তাদের তুলে দিতে গভীররাতে অভিযান চালায়। তারা প্রথমে রাতে উক্ত এলাকার বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়। এরপরে গভীররাতে তারা তাদের কথায় সাউন্ড গ্রেনেড-টিয়ারশেল ইত্যাদি ব্যবহার করে। ৫মে সকাল থেকে ৬মে ভোররাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে হেফাজতের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আইনর্শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে মোট ১১ জন মারা যায়। তবে হেফাজতে ইসলাম এই মৃত্যুর সংখ্যা অনেক অনেক বেশি বলে দাবি করে। তাদের দাবি শাপলা চত্বরের হামলায় মোট ২৫০০এর উপর মারা যায়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, স্বাধীন বার্তা মাধ্যমের মতে যারা আহত হয়ে পরে মারা গিয়েছে তাদের সংখ্যা যোগ করে এই মৃত্যুর সংখ্যা কমবেশী ৫০ হতে পারে।
এই ঘটনা ঘটার পরে আমি ফেসবুকে এবং টুইটারে একটি উক্ত ঘটনার একটি ভিডিও শেয়ার করলে আমাকে নানাভাবে আক্রমণ করা হয়। সমালোচনা করা হয়। আমি যথাসম্ভব যুক্তি দিয়ে আমরা বক্তব্য এবং ৬মে দিবাগত রাতে শাপলা চত্বরে হামলা নিয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্ট করি।
বিভিন্ন সময়ে ফেসবুক-টু্ইটারে যে বিতর্ক হয় আমি তার কিছু স্ক্রীনশট এখানে প্রদান করছি।
টুইটারে
আামার বক্তব্য
আমার অবস্থান নিয়ে ফেসবুকে সমালোচনা
নিচে তা তুলে ধরলাম-
UPDF OPENED THIER MASK: After BNP, Jamat & Hefazot, now anti CHT Accord group UPDF [United Peoples Democratic Front] also claimed that, on May 06, 2013, police made a massacre at the Motijhil, Dhaka. But media says, police destroy the illegal presence of fundamentalists with huge tolerance. [bbc.in/10g5h95]
Mithun Chakma, a top central leader of the UPDF gave this statement at the Twitter. He posted at least 8 tweets on this matter.
Early, after the CHT Accord, in December 02, 1997, UPDF became a strong supporter of BNP, especially Wadud Bhuiayan, the ex-MP & the Bengali settlers’ leader of the Khagrachori, CHT.
By: Adivasi Voice
স্ক্রীনশট
এর জবাবে আমি আমার বক্তব্য তুলে ধরলাম-
Mithun Chakma Jumma I am sharing my other comment- “পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন বিষয়ে আমি যখন কথা বলি তখন একটি কথা বলি, পার্বত্য চট্ট্রগামে যতদিন সেসাশাসন থাকবে ততদিন বাংলাদেশের সামরিক শাসনের পাকচক্র থেকে মুক্তি নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাশাসন থাকা মানেই কয়েকবছর পর পর ‘জরুরী অবস্থা’ ‘অন্তবর্তীকালীন অবস্থা’ ইত্যাদির নাম করে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতায় বসবে। সুতরাং এখন বাংলাদেশ সরকারই ঠিক করবে তারা সামরিক শাসন চায় কি না চায়। চাইলে তারা পার্বত্য চট্টগামে সেনা শাসন জারি রাখতে পারে। কিন্তু এর পাল্টা তারা ভুগবে। আমরা পার্বত্য জুম্ম জনগণ শওকত ওসমান-নের ক্রীতদাসের হাসির মতো হেসে যাবো। এখনো শাপলা চত্বরের হত্যাকান্ড নিয়ে আমার সেই অবস্থান। প্রকৃতি বাড়াবাড়ি সহ্য করে না। এটা নিয়তিবাদী বা ধর্মীয়বাদী কথা নয়। আম ধর্ম নিয়ে বিশ্বাসের শুন্যে আছি।”
May 11 at 10:13pm · Like
Mithun Chakma Jumma ফেসবুক বন্ধুদের মধ্যে যারা ‘দেশপ্রেমিক’, ‘জয় বাংলা’পন্থী, ‘৭১এর’ পক্ষে’ ‘যুদ্ধাপারাধীদের বিচারের দাবিতে গলা ফাটান তারা আসুন আমার এই প্রশ্নের জবাব দিন।
May 11 at 10:13pm · Like
Mithun Chakma Jumma ২৫০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে হেফাজতের এই দাবি আমি বিশ্বাস করতে পারিনি, এবং এখনো বিশ্বাস করি বলে মনে হয় না। কিন্তু এ পর্যন্ত আমি টিভিতে সরকারী কর্মকর্তাদের সাক্ষাতকারে দেখেছি, হত্যাকান্ড নিয়ে কথা উঠলেই তাদের গলার পানি শুকিয়ে যায়। তারা ধোক গিলতে শুরু করেন। কেন? কেন?
May 11 at 10:14pm · Like
Mithun Chakma Jumma সবকিছুর একটা সীমা আছে। দেশপ্রেমের নামে ভন্ডামিরও বাড়াবাড়ি থাকা দরকার। কে দেশপ্রেমিক? কে? আওয়ামীলীগ? কীসের ভিত্তিতে দেশপ্রেমিক? লুটপাটের ভিত্তিতে? দেশকে দেশের সম্পদকে লুন্ঠনে খাঁটি কুশলী হিসেবে?
আমার অবস্থানের ব্যাখ্যা
আমি ভণিতা না করে আমার অবস্থানের যৌক্তিকতা তুলে ধরার জন্য নিচে আইনগত ব্যাখ্যা প্রদান করলাম।
কোড অব ক্রিমিনাল প্রোসিডিউর-১৮৯৮ এর তৃতীয় অংশের(Part-3) ৫ নং চ্যপ্টার বা অধ্যায়ের Arrest, Escape and Retaking -সংক্রান্ত অংশের ৪৬ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে-”
46.(1) In making an arrest the police-officer or other person making the same shall actually touch or confine the body of the person to be arrested, unless there be a submission to the custody by word or action.
(2) If such person forcibly resists the endeavor to arrest him, or attempts to evade the arrest, such police-officer or other person may use all means necessary to effect the arrest.
(3) Nothing in this section gives a right to cause the death of a person who is not accused of an offence punishable with death or with 1[ transportation for life].
এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, একজন পুলিশ সদস্য কাউকে এরেস্ট করার সময় কীভাবে এবং বাধা পেলে কীভাবে কাউকে এরেস্ট করবেন।
উপধারায় খুবই খোলাসা করে বলা আছে, আইনের চোখে মৃত্যুদন্ডযোগ্য শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই আইনের কোনো ধারা-ই একজন ব্যক্তির মৃত্যুর কারন হবার জন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা পুলিশকে ‘অধিকার’ বা ‘Rights’ প্রদান করেনি।