Showing posts with label প্রতিবাদ. Show all posts
Showing posts with label প্রতিবাদ. Show all posts

Tuesday, December 27, 2016

মিঠুন চাকমার বিরুদ্ধে কেন চাঁদাবাজি মামলা?

২২ ডিসেম্বর, ২০১৬ ইং আমার বিরুদ্ধে খাগড়াছড়ি থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার ধারা হল ৩৪২/৩৮৫/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড। অভিযোগ হল চাাঁদাবাজির। এমনিতেই রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ধারাসহ মোট ১৩টি মামলা। এই মামলাগুলোর জন্য কোর্ট হাজিরা দিতে হচ্ছে মাসে ১০ থেকে ১২ দিন। অর্থাৎ শুক্র ও শনিবার এই দুই ছুটির দিন বাদে প্রায় প্রত্যেকদিন আমাকে কোর্র বারান্দায় থাকতে হয়! ডিসেম্বর মাসে কোর্টে ছিলাম ৪, ৬, ৭, ৮, ১৩, ১৪, ১৯ ও ২১ ডিসেম্বর। মাসটি এখনো শেষ হয়নি। আরো কয়েকদিন কোর্ট হাজিরার ডেট রয়েছে। কিন্তু কী এক ‘শনির দশা’ বা ‘বদ নসিব’ পেয়ে বসেছে যে, আরো মামলায় জেরবার হতে হচ্ছে?? কারাগার বা জেলখানা যেন ডাকছে!!
কেন এই মামলা?
শেষ কোর্ট হাজিরা ছিল ২১ তারিখ। তার আগের দিন খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকরা একটি মানববন্ধন করেছে। প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক নীরব চৌধূরীকে মারধর করার প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। এলাকার একজন সচেতন ব্যক্তি হিসেবে এই ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছিল। তাছাড়া ব্যক্তিগতভাবে মাঝে মাঝে একটি ব্যক্তিভিত্তিক নিউজ ওয়েবসাইটে লেখালেখির কারণে আমাকে কেউ কেউ ‘সাংবাদিক’ হিসেবে পরিচিতি দিতেও সহায়তা করে। ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেকে ফ্রিল্যান্স সংবাদ প্রচারক হিসেবে পরিচয় দিতে রাজি থাকলেও থাকতে পারি!
সে যাই হোক, আন্তরিকতার দাবি রেখে এই প্রোগ্রামে প্রথমে দূর থেকে অংশ নিয়েছিলাম। পরে কিছুক্ষণের জন্য মানববন্ধনে দাঁড়িয়েও ছিলাম। দাঁড়িয়ে যা দেখেছি সে বিষয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে যা বলেছিলাম তা নিচে তুলে ধরছি-
আজ ২০ ডিসেম্বর খাগড়াছড়ির সাংবাদিকদের উদ্যোগে ফটো সাংবাদিক নীরব চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা যে কর্মসূচি তাতে ছিলাম। এ বিষয়ে আমার এক বন্ধু বললো, দোস্ত, তোমাকেও সেই প্রোগ্রামে দেখলাম, ব্যাপার কী? আমি বললাম, ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছে তাতে জোরজবরদস্তি ও অন্যায় রয়েছে, তাই সেখানে ছিলাম। সাংবাদিক নীরব চৌধুরী অন্যায্য কিছু করলে সে বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নেয়া যেত নিশ্চয়ই। এছাড়া বললাম, পৌর মেয়র রফিক সাহেব যদি সাংবাদিক মেরে থাকেন তবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে যা করেছেন তা তিনি সঠিক কাজ করেছেন বলে মনে হয় না। এভাবে যত্রতত্র অনাবশ্যক হ্স্তক্ষেপে তার ক্যারিয়েরই বরং ক্ষতি হবে। তিনি পৌর মেয়রের চেয়ে বড় কিছু হতে পারবেন না। তবে প্রোগ্রামে সরাসরি থেকে যা অবাক করেছে তা হল, সাংবাদিকদদের বিপরীতে পাল্টা প্রোগ্রাম ডেকেছিল পৌর মেয়রের সমর্থকরা। বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসা করার মত হলেও *রাজনৈতিক* রূপ দিয়ে মিছিল পাল্টা মিছিল একটু বেখাপ্পাই লাগে!!! মাথায় *রাজনীতি* ঢুকলে যা হয় আরকি!! সে যা হোক অনেকদিন পরে খাগড়াছড়ির *মাঠ* গরম দেখে এই শীত উপলভ্য বোধ হয়েছে!!!!


সাংবাদিকদের মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের একজন হিসেবে 


তারপরের দিন আরো মন্তব্য করেছিলাম -
যা বলা দরকার সাংবাদিক নীরব চৌধুরীর উপর হামলার প্রতিবাদে গতকাল ২০ ডিসেম্বর সাংবাদিকরা মানববন্ধ করেছে। উক্ত কর্মসূচিতে কেন আমি উপস্থিত ছিলাম তার কথা গতকালকে ফেবু স্ট্যাটাসে বলেছি। গতকালকের কর্মসূচি নিয়ে প্রথম আলোর প্রতিবেদন দেখার পরে আরো কিছু বলা দরকার মনে করছি। প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘দিদার কসাই’এর নেতৃত্বে মেয়র রফিক গ্রুপের ৪০/৫০ জন মিছিল করেছে। উক্ত মিছিলে শ্লোগান দেয়া হয়েছে- ‘একটি-দুটি সাংবাদিক ধর, ধরে ধরে জবাই কর; সাংবাদিকদের আস্তানা-জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও’। তবে আমি বলতে চাই যে, প্রোগ্রামে সরাসরি থেকে আমি এই শ্লোগানগুলো শুনিনি। তারা যে শ্লোগানগুলো দিয়েছে তার মধ্যে আমি যেগেুলো শুনেছি সেগুলো হল- চাঁদাবাজদের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে। চাঁদাবাজদের কালো হাত ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও উন্নয়নে বাধা দিলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে।
(এক সাংবাদিকের নাম ধরে শ্লোগান দেয়া হয়েছে) ... চোরের গালে গালে জুতা মারো তালে তালে এছাড়া তাদের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল কিনা তাও খেয়াল করিনি। তবে ’কসাই’ দিদারের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়েছে, তাদের যে অঙ্গভঙ্গি তা অবশ্যেই ‘উস্কানিমূলক’ ‘আক্রমণাত্মক’ ছিল তা বলা যেতে পারে।
প্রথম আলোর মতো একটি স্বনামধন্য/বস্তুনিষ্ঠতার দাবিদার পত্রিকায় যখন কোনকিছু লেখা হয়, তখন তা গুরুত্ব দিয়ে দেখার প্রয়োজন আছে নিশ্চয়ই। তাই প্রথম আলো তাদের প্রতিবেদনে বস্তুনিষ্ঠতা দেখাবে তার আশা, প্রথম আলোকে কেউ পছন্দ না করলেও, সকল পাঠক অন্তত কিছুটা করে থাকে। প্রথম আলোর ভুমিকা যেন ‘অতিরঞ্জনাত্মক’ না হয় সে আশা রইল
তারপর ২৫ ডিসেম্বর আরেকটি স্ট্যাটাসে বলি-
আমার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হয়েছে শোনার পর এক শুভাকাঙ্ক্ষী বললেন, মেয়র রফিকের *হাত* কতো লম্বা তুমি জানো না। আমি শুনে স্তম্ভিত! আমার নামে মামলা হবার সাথে মেয়র রফিকের *হাত* কত লম্বা-এর সম্পর্ক কি তা বুঝলাম না!?? তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে এই *প্রেডিকশন* *মিথ্যা* হবে এমন নাও হতে পারে!! এই কদিন খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকের সাংবাদিক *পিটানো* নিয়ে *সরব* থাকার কারনে *মামলা* যে দেয়া হয়নি তাও বা কী করে বলি!?? অথবা জেল থেকে মুক্তি পাবার পরে এখন খাগড়াছড়ি সদরে *মুক্ত মানুষের মত* ঘোরাফেরা করতে পারায় *কেউ না কেউ* *শংকিত* এই ধারণা মিথ্যা নাও হতে পারে!! সে যাহোক,....!


২২ ডিসেম্বর যেদিনের ঘটনার জন্য চাঁদাবাজি মামলা দেয়া হয়েছে সেদিন পিসিপি খাগড়াছড়ি কলেজ শাখার কাউন্সিলে আমন্ত্রিত একজন অতিথি হিসেবে আমি মিঠুন চাকমা বক্তব্য দিচ্ছি


খাগড়াছড়িতে সাংবাদিককে মারধর করার ঘটনা নিয়ে সোচ্চার থাকার জন্যই সম্ভবত আমার নামে মামলা দেয়া হয়েছে! মামলা যে দেয়া হয়েছে তা জানতে পারি ২৫ ডিসেম্বর। শুভাকাঙ্খীরা আমাকে বললো কিছুদিন বাইরে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা না করতে। কিন্তু খুব মনেকষ্টের সাথে বলতে হচ্ছে আমার এই প্রাণপ্রিয় খাগড়াছড়িতে কিছুক্ষণ আলো হাওয়া বাতাস গায়ে লাগিয়ে না আসলে কেমন যেন মন আনচান করে!
আসলে পাহাড়ের সাধারণ জীবনযাপন এবং রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িক চিন্তা এতবেশি সংকীর্ণভাবে সবার মনে ‘বিরাজ করে’ যে এখানে একজন ইউপিডিএফ সদস্য যখন মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করে তখন কারো কারো যেন মাথ্যাব্যথা সৃষ্টির কারণ হয়ে থাকে!
ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে সেই বৃত্ত থেকে মুক্ত মনে করলেও যেন তা-ই আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে!!!
ইচ্ছে ছিল খাগড়াছড়ি শহরে সবার সাথে মিশে একটা নতুন কিছু করার উদ্যোগ নেব যেন এই ....
এই ফেসুবক নেটা একিটু খাপছাড়ভাবেই লিখছি!
যে মামলা দেয়া হয়েছে আইনজীবির সাথে পরামর্শ করে তা আইনীভাবেই মোকাবেলা করব। আদালত জেলে পাঠায় তাতেও রাজি!
যারা মামলা দিয়েছে তাদের তো অন্তত ‘সুখবোধ’ সৃষ্টি হবে!
আর নিশ্চয়ই নিজেকে ‘নিরপরাধ’ প্রমাণ করে আবার অনলাইন ফেসবুকে আসেতে পারব এই প্রত্যাশাই থাকল!
লেখালেখির জন্য ৫৭ ধারায় মামলা হবার পর ‘সন্তুষ্টি’ ‘আত্মতৃপ্তি’ ছিল, যাই হোক, অন্তত লেখালেখির জন্য তো মামলায় অভিযু্ক্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলাম!
কিন্তু এখন ‘চাঁদাবাজি’ মামলার আসামী হিসেবে নিজেকে দেখতে পেয়ে নিজেকে বেমানানই লাগছে!
তবে তারপরেও এটা তো জানা যে, রাজনীতিতে ‘মামলায়’ জেরবার হওয়া স্বাভাবিক একটি প্রবণতা মাত্র!

Thursday, November 17, 2016

মিঠুন চাকমাকে গ্রেপ্তারের খবরে ’শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তকমা ব্যবহারের প্রতিবাদ


তারিখ: ১৮ নভেম্বর, ২০১৬
আমার গ্রেপ্তারের খবরের শিরোনামে ’শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তকমা ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। গত ১১ জুলাই, ২০১৬ ইং আমাকে গ্রেপ্তারের পরে আপনার ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া/ওয়েবসাইট/গণমাধ্যমে উক্ত খবরটি প্রকাশিত হয়। ্
প্রতিবাদ পত্র

আমি মিঠুন চাকমা, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ(পিসিপি)এর সাবেক সভাপতি, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)এর সংগঠক। গত ১১ জুলাই মধ্যরাতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত নিজ বাড়ি থেকে আমাকে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার করার পরে আমাকে অন্যান্য রাজনৈতিক মামলার পাশাপাশি বহুলভাবে সমালোচিত তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ নং ধারার ২ নং উপধারা’র ভিত্তিতে আরেকটি মামলা প্রদান করা হয়। মূলত, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিকার আদায়ের জন্য ব্লগ ও সামাজিক গণমাধ্যমে সরব যুক্তিমূলক উপস্থিতির কারণে আমার বিরুদ্ধে উক্ত হয়রানীমূলক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রদান করা হয়। দীর্ঘ ৯৮ দিন কারাগারে দিনযাপনের পরে বিজ্ঞ আদালত গত ১৮ অক্টোবর, ২০১৬ ইং আমাকে মুক্তি প্রদান করে। মুক্তির কিছুদিন পরে আমি ওয়েবসাইট-ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় আমার গ্রেপ্তারের খবরগুলো পড়ার সময় দেখতে পাই আমার গ্রেপ্তারের খবরের শিরোনামে ’শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তকমা ব্যবহার করে খবরসমূহ প্রচার করা হয়েছে। এই ধরণের মিথ্যাচারমূলক শিরোনামা ব্যবহার করার তীব্র প্রতিবাদ আমি জানাচ্ছি। এটা একজন ব্যক্তির পরিচিতিকে সচেতনভাবে ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে এবং রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে হেয়মূলক ও অবমাননকরভাবে উপস্থাপনেরই শামিল।
আমার নামের সাথে ’শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তকমা ব্যবহারের তীব্র প্রতিবাদের সাথে সাথে আমি আপনার প্রতি অনুরোধ করছি আপনার তথ্যমাধ্যম/ওয়েবসাইট/ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া থেকে এই খবরটি ও তার শিরোনাম থেকে উক্ত শব্দবন্ধ যেন প্রত্যাহার করা হয়।
এখানে বলা প্রয়োজন যে, আমি ইউপিডিএফএর একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমার নামে বেশ কয়েকবছর ধরে হয়রানীমূলক মামলা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আমার নামে রাজনৈতিক কারণে ’মারামারি-ইটপাটকেল নিক্ষেপ-পুলিশের কাজে বাধাদান-প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ বয়কট’ ইত্যাদি ’অপরাধ সংঘটনের’ অভিযোগ মাত্র রয়েছে। প্রমাণাদি ব্যতীত শুধুমাত্র এই কতিপয় ’অপরাধ সংঘটনের’ ’অভিযোগ’, যা এখন আদালতে বিচারাধীন, তার ভিত্তিতে একজন রাজনৈতিক কর্মীর নামে ’শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তকমা ব্যবহার করার কোন যুক্তিই থাকতে পারে না। এই ধরণের তকমা ব্যবহার একদিকে যেমন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত নীতিহীন প্রচারণার শামিল অন্যদিকে তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ভিত্তিতে মিথ্যা ও অশ্লীলতার দোষে দুষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। 
 আমি আশা করছি আমার এই প্রতিবাদলিপি আপনার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। আন্তরিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। 

মিঠুন চাকমা
সদস্য
ইউপিডিএফ

Saturday, July 11, 2015

ফেসবুকে রাজনৈতিক আলোচনায় আমাদের জুম্মদের অসামাজিক আচরণ!


ইন্টারনেট বা অন্তর্জাল বা ডিজিটাল মাধ্যম যেভাবেই এই বর্তমান আধুনিক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তিকে অভিহিত করে থাকি, এটা বলা সংগত ও বাস্তবসম্মত যে, এই ইনফরমেশন টেকনোলজি আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্ম জাতীয় সত্ত্বার অন্তর্ভুক্ত একটি বিশাল সংখ্যাবহুল অংশকে নানাভাবে ওতপ্রোতভাবে প্রভাবিত করেছে। এই মাধ্যমটির কল্যাণেই আজ আমরা আমাদের ক্ষীণমাত্রার চেঁচামেচি বা চিৎকার বা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইকে বেশ বৃহৎ এক পরিসরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। বিশেষভাবে বৃহত্তর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আমাদের সেই সুযোগটি হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ও বিষাদগ্রস্ততার সাথে বলতে হয় বা হচ্ছে যে, আমরা বিশাল অন্তর্জালিক এই বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ মাধ্যমে যেন অসামাজিক আচরণ তথা সামাজিকতা বিশৃঙ্খলার মূর্ত প্রতীক চিহ্ন হিসেবে ব্যবহার করতে বদ্ধপরিকর! আমরা যেন নিজেদের অসামাজিক আচরণকে প্রস্ফুটিত করতেই বেশি সোচ্চার! আমরা যেন নিজেদের দায়বোধহীন অসামাজিক সত্ত্বা হিসেবে পরিচিতির তকমা দিতে সচেষ্ট! আমরা যেন নিজেদর ক্রমশ ‘অসামাজিক’ই করে তুলছি!
বিশেষ করে বলতে হয়, রাজনৈতিক বক্তব্য প্রদান, এ বিষয়ে আলোচনার দিক থেকে আমরা যেন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হিসেবে জাহির করতে ব্যতিব্যস্ত থাকি!
আরো সুনির্দিষ্টভাবে বলতে হয়, আমরা ফেসবুকের মতো বৃহৎ বিশ্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হিসেবে যাদের জাহির করতে দেখি, বা নিজেদের প্রচার করতে দেখি বা যাদের সক্রিয় থাকতে দেখি, তারা যেন ক্রমাগত মাত্রায় নিজেদের ‘নিজস্ব পরিচয়’কে তুলে ধরতে যারপরনাই ধনুর্ভঙ্গ পণ তথা শপথ পাঠ করেছেন এবং সে অনুযায়ী কর্মবীরের পরিচয়ে আবির্ভূত হয়েছেন।
কিন্তু খুব দুঃখ ও অনুযোগের সাথে বলতে হচ্ছে, সামাজিকতার অন্যতম প্রথম শর্ত হলো, নিজের পরিচয় আগে প্রদান করা! আমরা কোথাও বেড়াতে গিয়ে যেমন অন্য অপরিচিতের সাথে দেখা হলে পরষ্পরের পরিচয় দিয়ে বা পরিচয় নিয়ে তারপর খোশগল্প করি বা অন্যান্য সামাজিকতার চর্চা করে থাকি, ঠিক তেমনি ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রথমেই নিজেদের পরিচয় আমাদের দেয়া সামাজিক আচরণ বিধানসম্মত হিসেবেই আমরা মনে করতে পারি। কিন্তু ফেসবুকে যেন এখন পরিচিতির দেখা্ মেলে না!
বরং, ভিন্ন নাম গ্রহণ করে, ছদ্মনাম ব্যবহার করে, ভুয়া নাম পরিচয়ের পিরিচিতি দিয়ে আমরা কথা বলতে,লিখতে, গবাগবি করতে, নিন্দা-মন্দ-গাল-চিৎকার-চেঁচামেচি করতে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি!
এবং, আরো ভয়ানক হচ্ছে, এই সকল ছদ্মবাদী-ভিন্ন নামীয়-ভূয়া পরিচয়ধারীগণ স্পর্শকাতর বিষয়ে নিজেরা প্রতিনিধি সেজে ক্রমাগত কথা লিখে যাচ্ছেন। এবং এই কথা লেখালেখির মাধ্যমে যে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিষিয়ে তুলছেন তার কথা তারা মনে রাখছেন না।
একে দায়িত্বশীলতা বলা যায় কি না তা নিয়ে প্রশ্ন করা অপ্রাসঙ্গিক না হয়ে যায় না।
একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি দায় নিয়েই কথা বলে থাকেন। কিন্তু এই সকল ভিন্ন নামধারী-ছদ্মবেশী -ভুয়া পরিচয়ধারীগণ যা কথা বলেন তা তারা দায় নিয়ে যেমন বলেন না, তেমনি তারা নিজেরাই ‘অস্পষ্ট-ছায়া-আবছায়া’ হওয়ার কারণে তাদের ‘শক্তিশালী’ ‘প্রভাব বিস্তারকারী’ বা ‘গৃহদাহ বিস্তারকারী’ কথাবার্তা লেখালেখির কারণে বৃহত্তর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে ভয়ানক-চিন্তাবিনাশী-সমাজ চেতন-অচেতনতা সৃষ্টিকারী ছায়াপাত ঘটাচ্ছে তা যেন তারা জেনেও না জানার ভান করে থাকেন এবং নিজের বা নিজেদের পরিচয় চিহ্নিত না করার কারণে তারা ‘প্রভাব’এর দায় থেকে ‘দায়মুক্তি’ পেয়ে যান সহজেই!
আর, এতে তিন সংগঠনকে যে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় তার চর্চাও করা হয়ে ওঠে না। জবাবদিহিতা যেন লা-জবাব বেওয়ারিশ হয়ে যায়!!
এক অর্থে কড়াভাবে বললে বলা যেতে পারে, এভাবে তিন সংগঠনের কর্তাব্যক্তিদের অদায়িত্বশীল, জবাবদিহিবিহীন থাকার প্রবণতা যেন প্রকাশিত হয়।
কী নির্মম অবিচারের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা পার্বত্য জুম্ম জনতা!
এখানে বলে রাখা ভালো যে, ছদ্ম নামে বা ভিন্ন নামে বা ফেক বা ভুয়া আইডি ব্যবহার করে আলোচনা বা কথা বলা বা লেখালেখি করার ক্ষেত্রে আমি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা বা তা করা যাবে না এমন কথা এখানে বলছি না।
শুধু তিন সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে যে তা করা হচ্ছে তার কথাই বলছি। এবং তা যে ক্ষতি বৈ কিছই ফল উৎপাদন করছে না তার কথাই বলছি।
এছাড়া বলা দরকার যে, এতে যেমন তিন সংগঠনের সত্যিকারের পরিচিতি চাপা পড়ে যায়, তেমনি ভিন্ন নাম ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে সাবোটাজ করার সুযোগও বিস্তৃত করে দেয়া হয়ে যায়। এটা বরং আত্মবিনাশী বা বুমেরাং হয়ে ওঠে আমাদের জুম্ম লড়াইয়ের জন্য।
এ বিষয়ে তিন সংগঠনের কর্তাব্যক্তিগণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভোক্তাগণ , আমাদের চেতনাবোধ সম্পন্ন জনগণ আরো সিরিয়াস হয়ে চিন্তাভাবনা করবেন এই প্রত্যাশা করা ছাড়া আমাদের কি ই বা করার আছে?!!!
তারিখ: ১১ জুলাই, ২০১৫

Friday, June 12, 2015

দেশপ্রেম বদমায়েশীর শেষ আশ্রয়

স্যামুয়েল জনসন নামে এক ব্যক্তি খুব জুতসই একটি কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন- Patriotism is the last refuge of a scoundrel(লিংক). আরো লিংক। এই উদ্ধৃতির বাংলা করলে দাঁড়ায়- দেশপ্রেম হলো একজন বদমায়েশের শেষ আশ্রয়। এই 'বদমায়েশী' বোশ বোঝা যেতো কয়েকবছর আগে, যখন পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে অনেকে লেখালেখি করতেন,বলতেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করার চক্রান্ত চলছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে 'দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী' যা করছে সব ভালোই করছে, এই কথাটি বলে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামকে দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন রেখে দিতেন। এখন তারা তেমন জোরে কথা না বললেও তার ভুত যে দেশের প্রশাসনযন্ত্রের মধ্যে রয়েছে তা নানাভাবে উপলব্ধি করা যায়। তবে আজকের লেখা পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে নয়। আজকের লেখা 'দেশপ্রেমিক'দের নিয়ে। 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর,তুরিন আফরোজ, যিনি একজন ব্যারিস্টার, তাঁকে কে বা কারা একটি চিঠি দিয়েছেন। 
সমকাল পত্রিকায় ভাষ্যে-  
 চিঠিতে অশ্লীল ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করে তুরিন আফরোজকে হুমকি ও গালাগাল করা হয়েছে। 
আর এই হুমকি সম্বলিত চিঠি বিষয়ে তিনি সমকাল প্রত্রিকাকে বলেছেন- 

জানতে চাইলে তুরিন আফরোজ সাংবাদিকদের বলেন, 'ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অবমাননাকর’ বিবৃতি দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর দণ্ডপ্রাপ্ত ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আদালত অবমাননার অভিযোগ  থেকে অব্যাহতি পাওয়া ২২ নাগরিকের কেউ এ চিঠি পাঠিয়ে থাকতে পারেন। কারণ চিঠির বিষয়বস্তুতে এ বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে।'

একজন প্রখ্যাত ব্যারিস্টার, যিনি 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল'এর প্রসিকিউটর, তিনি বলছেন, '২২ নাগরিকের কেউ এ চিঠি পাঠিয়ে থাকতে পারেন'। আমরা জেনেছি, তিনি তাকে দেয়া হুমকি নিয়ে একটি জিডিও করেছেন। তবে তিনি জিডিতে কী লিখেছেন, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, হুমকির জন্য কাকে বা কাদের সন্দেহ করছেন সে বিষয়ে কিছু বলেননি। সংবাদ মাধ্যমসূত্রে জানতে পেরেছি, পুলিশ বলেছে, তদন্তের স্বার্থে তা বলা যাবে না! লিংক। কিন্তু, আমাদের কথা হলো, তিনি শুধুমাত্র 'ধারণা'র ভিত্তিতে কেন '২২ নাগরিক'কে সন্দেহ করবেন? 
এ বিষয়ে বাংলানিউজ২৪.কম এর লিংক শেয়ার করে আমি ফেসবুকে মন্তব্য করি- 
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ 'কোত্থেকে' কোন অজনা জায়গা থেকে কার লেখা একটি চিঠি পেয়েছেন। চিঠিতে হুমকি ছিলো বোধহয় তার বিরুদ্ধে। আর তিনি একজন ব্যারিস্টার, তিনি সেই চিঠি পাবার পরে 'রাজনীতি' শুরু করেছেন।তিনি বললেন,
" ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যানের সাজায় উদ্বেগ প্রকাশ করে ‘অবমাননাকর’ বিবৃতি দেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল-২ এর দণ্ডপ্রাপ্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ২২ নাগরিকের কেউ এ চিঠি পাঠিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন তুরিন আফরোজ। তিনি বলেন, চিঠির বিষয়বস্তুতেও এটি উল্লেখ থাকায় তার এ ধারণা হচ্ছে।" (বাংলানিউজ২৪.কম)
তিনি 'ধারণা' করছেন। একজন 'ব্যারিস্টার' শুধুমাত্র 'ধারণা'র ভিত্তিতে কারো বিরুদ্ধে, ২২ নাগরিকের বিরুদ্ধে, কথা বলবেন, তাও আবার মিডিয়ায়(!), এটাই এখন 'রাজনীতি'!
ঐ 'ধারণা'র ভিত্তিতে তিনি. একজন 'ব্যারিস্টার' কথা বলেন, তা আজিকে দেখলাম! তাজ্জব বনে ঝাড়ে গেলাম!

 ২২ নাগরিকের মধ্যে আনু মুহাম্মদ একজন। এছাড়া অন্য মিডিয়ায় দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও বিভিন্ন অধিকার আদায় ও দেশের জনগণের স্বার্থরক্ষার লড়াইয়ে অগ্রনী ভুমিকা পালনকারী আনু মুহাম্মদের নাম নেয়া হয়েছে বলে ফেসবুক সূত্রে জানতে পারলাম। 

এখন দেশে কাউকে হুমকি দেয়া যেন ডাল আর ভাতের মতন! যে কেউ ইচ্ছে করলেই হুমকি দিতে পারেন! তবে এখনকার ট্রেন্ড হলো- হাতে লেখা চিঠিতে হুমকি দেয়া! এটা নতুন ট্রেন্ড! এবং বেশ বাজারও পাচ্ছে! অলরেডি অনেকজনককে হুমকি দেয়া হয়েছে। 
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকেও হুমকি দেয়া হয়েছে সেই 'চিঠি' দিয়েই। তিনি হুমকি পাবার পরে যেভাবে '২২ নাগরিকের' বিরুদ্ধে লেগেছেন, এবং নানাভাবে যেভাবে আনু মুহাম্মদকে এতে জড়ানোর চেষ্টা অনেকে করছেন, তাতে 'তাজ্জব বনে ঝাড়ে' যাওয়া ছাড়া কিছুই করার দেখছি না! 
এখন, সবচেয়ে বেশি চলছে, 'দেশপ্রেম' নিয়ে 'খেলা'। আগে ছিলো, 'ওই মিয়া, তোমার দাড়ি কই?, সেই যুগের। এখন বলতে শুনি, এই মি./মিজ/মিসেস(মিয়া নয়), তোমার 'দেশপ্রেম' কই?
তার এই ভাবসাব দেখে স্যামুয়ের জনসনের সেই বিখ্যাত উক্তি বারবার মনে পড়ছে- তিনি বলেছেন এবং অনেক সময় বারবার তার সেই কথা অনেকেই বলছেন, আমিও উদ্ধৃতি শেয়ার করছি- একজন বদমায়েশের শেষ আশ্রয় হলো, দেশপ্রেম।
এই উদ্ধৃতির সারকথায় সায় দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে, যারাই এখন বেশিমাত্রায় 'দেশপ্রেম' দেখায় তাদেরই আমার কেন জানি 'বদমায়েশ' 'বদমায়েশ' মনেহয়। 
এরা দেশের জনগণের প্রতি প্রেম দেখায় না, দেশপ্রেমও দেখায়না, তারা বদমায়েশীসুলভ 'দেশপ্রেম'এর পরাকাষ্ঠা দেখায় বলেই আমার মনেহয়। 
এই 'দেশপ্রেম' নিয়ে রাজনীতির খেলা আশাকরি তুরিন আফরোজ, যিনি একজন ব্যারিস্টার, তিনি খেলবেন না। য
 

Tuesday, March 17, 2015

দীঘিনালায় সারাদিন

পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে দীঘিনালা ভুমিরক্ষা কমিটির ব্যানারে আজ লংমার্চ-এর ডাক দেয়া হয়েছে। দীঘিনালা উপজেলা মাঠ থেকে বাবুছড়া পর্যন্ত লংমার্চের গন্তব্যস্থল ছিলো।দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটারে মত। বিজিবি কর্তৃক ২১ জুম্ম পরিবারকে উচ্ছেদ করে ৫১ ব্যাটালিয়ন সদরদপ্তর স্থাপনের প্রতিবাদে এই লংমার্চের ডাক দেয়া হয়। লংমার্চ শান্তিপূর্ণভাবে করা হবে বলে ঘোষনা দেয়া হয়।
কিন্ত আজ ১৫ মার্চ সকাল থেকেই দীঘিনালায় বিরাজ করেছে অস্বস্তিকর পরিবেশ! সকাল থেকে শুনতে পাচ্ছি স্থানীয় টমটম বা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা চালাতে দিচ্ছে না সেনা ও পুলিশ টহল দল। সকাল নয়টার দিকে যখন দীঘিনালা উপজেলা মাঠে বিভিন্ন জায়গা থেকে লংমার্চে অংশ নিতে জনগণ আসতে চেষ্টা করছিল তখন কবাখালী-মেরুং-মিইনী ব্রিজসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড়া চৌকি বসিয়ে গাড়ি আসা যাওয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।  লোকজন তারপরেও পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যেতে শুরু করে। পৌনে দশটার দিকে উপজেলা এলাকা থেকে লংমার্চ শুরু হলে পথের মাঝখানে লংমার্চের প্রধান অংশকে আটকে দেয়া হয়।
পরে লংমার্চের আরেকটি টিম শান্তিপুর-নারিকেল বাগান এলাকা থেকে বাবুছড়ার দিকে রওনা দেয়। হাজার জনতার লংমার্চের সারির উক্ত দলটি কয়েক কিলোমিটার হেঁটে কার্বারী মুড়ো বা কার্বারী টীলা এলাকা আসে।
এ সময় আমি পথের পাশে অবস্থান করছিলাম। শুনতে পেলাম দ্রুতবেগে দুটো আর্মি পিকআপ আর একটি পুলিশের পিকআপ উত্তর দিকে বাবুছড়া থেকে আসছে। তখন বোধহয় বাজে ১২.১৫/২০ টা। গাড়িগুলো সমাবেশস্থলে পৌঁছতে না পৌঁছতেই শুনতে পেলাম ফায়ার হচ্ছে। কয়েক রাউন্ড ফায়ার হবার পর দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে দেখি দূরে রিপরিপ করে ধান ক্ষেত দিয়ে অনেকেই পালিয়ে চলে যাচ্ছে। এদিকে এলাকায় যুবকদের মাঝে তখন হঠাৎ যেন রণ দামামা বেজে উঠল! তারা দেখি ‘জগার পাত্তে পাত্তে’ বা চিৎকার দিতে দিতে সামনে এগোতে চাচ্ছে।
কয়েক মিনিট পর শুনলাম আর্মি-পুলিশ কয়েকজন আহত হয়েছে। লংমার্চে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে শুনলাম।
বিকালে জানতে পারলাম মূল সমাবেশ থেকে আগামীকাল ১৬ মার্চ দীঘিনালা-খাগড়াছড়িতে একদিনের অবরোধ ঘোষনা দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ লংমার্চে বাধা দেয়া, কার্বারীমুড়ো বা কার্বারী টীলায় সমাবেশের উপর ব্রাশফায়ার, বিজিবি কর্তৃক অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অনৈতিক ব্যবহার করে জুম্মভুমি জবরদখলের প্রতিবাদে, মিথ্যা মামলা-হুলিয়া প্রত্যাহারের দাবিতে এই অবরোধের ঘোষনা দেয়া হয়।
এদিকে কার্বারী টিলার হাজারো জনতার তখন যেন রোষ চেপেছে! তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবার রাজপথ দখলে নিয়ে গুলি-হামলা উপেক্ষা করে উদাল বাগান স্কুলের মাঠে একত্র হলো। সেখানে সমাবেশ চললো। চারদিকে সেনা-বিজিবি-পুলিশের টহল তখন জোরদার করা হয়েছে।
শান্তিপূর্ণভাবেই সমাবেশ শেষ হলো।
সভা শেষ হলে জনতা গাড়িতে করে সভা ছেড়ে যেতে চাইলে প্রশাসন বললো ‘গাড়ির চাকা ঘুরবে না’
বিকাল ৪.৫১টায় শুনলাম অংশগ্রহণকারীর মোট আটটি টমটমে থাকা ৪০ জনের মতো যুবককে প্রশাসন মিইনী ব্রিজে আটকিয়েছে।
দীঘিনালায় বিরাজ করছে থমথমে ভাব।
কিন্তু তারপরও দীঘিনালাবাসীর লড়াকু মনোভাব যেন জুম্ম জনগণকে জানিয়ে দিলো, লড়াই ছাড়া, লড়াই করে বাঁচা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পার্বত্য জুম্ম জনগণের হাতে আর অবশিষ্ট নেই।
প্রশাসনের অন্যায় খবরদারী, জবরদখলী জোর যার মুল্লুক তার নীতি যদি পরিবর্তিত না হয় তবে এই রোষ কোথায় যে গতি পায় তার দিশা আমার কাছেও নেই!
তবে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তির প্রতি অনুরোধ পার্বত্য জুম্ম জনগণের এই ফুঁসে ওঠা রোষ নিয়ে আপনাদের ভাবতে হবে। দিকে দিকে প্রশাসন-সরকারের অবমানিত-অনৈতিক আচার-বিচারবোধ নিয়ে পার্বত্য জুম্ম জনতা অতিষ্ঠ এখনো মনেমনে। তার প্রকাশ ঘটলে কী যে ঘটে তা বলা মুশকিল। এটি আবেগের কথা নয়, বরং একটি বার্তা প্রশাসনের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক মহলের কাছে।
ধন্যবাদ

Monday, November 11, 2013

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধামকি হুমকিতে পার্বত্য জনগণ দুর্দমনীয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে!

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধামকি হুমকিতে পার্বত্য জনগণ দুর্দমনীয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে!


অবরোধ বয়কটের জবাবে আপনার হুমকি ধামকির ভয়ে আমরা ভীত নই


শুরু...


আজকাল পার্বত্য ইস্যু নিয়ে কমই লিখতে যেন মনেহয়!


কী যে হয়েছে বুঝি না! আজকাল পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে বা পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত ইস্যু নিয়ে একটু কমই লিখতে যেন ইচ্ছে হয়!

কিন্তু সামনে এমন এমন ইস্যু এসে হাজির হয় যে কথা না বলে থাকাও সম্ভব যেন হয় না! মনেহয় নিজের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গি যেন না বললে পেটের ভাত হজম হয় না!

কয়েকদিন ধরেই ভাবছি তেমন আর লিখবো না বা ফেসবুক ব্লগেও তেমন মন্তব্য বা খুবই কম মন্তব্য করবো না। কিন্তু সেই মন্তব্য তেমন না করার দিনটি যেন কাছে আসছে না!

নানা সাতপাঁচ কথা ভেবে নেটে বসলাম। এবং হিলবিডি২৪.কম ভিজিট করলাম। দেখলাম রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির স্থায়িত্ব ধরে রাখতে সম্মিলিতভাবে চাঁদাবাজ সহ সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়িতে সফরে গিয়ে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামের জনসভায় অনেক কথার মধ্যে চোখেমুখে ক্রোধ এনে বলেছেন, যারা সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছে অর্থাৎ যারা আজ(১১ নভেম্বর, ২০১৩) অবরোধ করেছে তারা "কতটুকু শক্তিশালী তাও দেখে নেবেন'। (সূত্র: এনটিভি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার খবর)


বেশি উদ্ধৃতি বা কথা বলার বোধহয় দরকার নেই। এই দু'টি উদ্ধৃতিই বুঝিয়ে দেয় দেশের শাসকশ্রেনী বা প্রশাসক রাজনৈতিক গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে কী চোখে দেখতে চায় বা দেখে।

তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে দমন নিপীড়ন এবং শোষন শাসনই মাত্র করতে চায়।

একজন সামরিক কমান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়মিত জনসংশ্লিষ্ট কাজের সাথে নিবিড় থেকে বোঝাতে চান যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সেনা শাসনের মধ্যেই থাকবে, এবং সেনাবাহিনী যা-ই বলবে তাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে শাসনের মূল ভিত্তি হবে।


আর অন্যদিকে শাসনক্ষমতার সর্বোচ্চ পদাধিকারী হয়ে আরেকজন গণতন্ত্রের তোয়াক্কাকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিপীড়িত একটি অংশকে বা তার প্রতিনিধিত্বস্থানীয় সংগঠন বা সমষ্টিকে সোজা কথায় 'হুমকি' দেবেন। এবং তাই-ই হবে শিরোধার্য।

আর কথা বাড়াবার অবকাশ দেখি না।

এখানে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করবো, চেতনার নিশান যতদিন উর্দ্ধে থাকবে, যতদিন অধিকারের আকাঙ্খা জ্বলজ্বল করতে থাকবে এবং যতদিন নিপীড়িত জনগণের প্রতিরোধস্পৃহার বিনাশ না হবে ততদিন এই 'অন্যায় অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী একনায়কসুলভ দমন নিপীড়নমূলক' শাসকশ্রেনী বা গোষ্ঠী বা ক্ষমতামদমত্তগোষ্ঠীর এই লাফঝাঁপ দৌড়ঝাঁপ ধামকি হুমকি শাসানোর  পাল্টা জবাব দিতে পার্বত্য জনগণ প্রস্তুত থাকবে।


মাননীয় প্রধামন্ত্রী আপনি কীসের গণতন্ত্রের কথা বলেন? একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের এতটুকুন অবরোধ বয়কট আপনি সহ্য করতে পারেন না! ?

আপনি হুমকি দিয়েছেন, শাসিয়েছেন?!

ধামকি দিয়েছেন?

এবং গণতন্ত্র শেখাচ্ছেন?!

 পরমত সহিঞ্চতা শেখাচ্ছেন?!

গণতান্ত্রিক অধিকার শেখাচ্ছেন?!

আপনি ক্ষমতায়  আছেন এবং তা পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন, নিপীড়িত জনগণকে শাসন করা যেমন সোজা বলে মনেহয়, তারা যখন ফুঁসে উঠবে (তারা সংখ্যায় তেমন তো বেশি নয়! ১৬কোটি মানেুষের দেশে মাত্র কয়েক লাখ!) তখন দেখবেন জনরোষ জনউত্থান কাকে বলে।


অনুরোধ জানাবো এবং বিনীতভাবে অনুরোধ করবো, হুমকি দেবেন না। ধামকি দেবেন না।

এবং অনুরোধ করবো, খাগড়াছড়ির সমাবেশে যা  বলেছেন তা যেন প্রত্যাহার করে নেন। পার্বত্য জনগণ যত হুমকি ধামকির সম্মুখীন হয়, ততো তারা যেন দুর্দমনীয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এটা মনে রাখবেন। বরং নরমভাবে কথা বলুন, তাতে কাজ হবে!


আর যদি হুমকি দেও বা 'দেখে নেবো' শাসান বা ধামকি দেনও তবে চ্যালেঞ্জ রইল। মনে রাখবেন আমরা দুর্বল নই এবং ভীতও নই


(আমি দুর্বল হতে পারি। আমি ভয়ে ভীত হতে পারি বা থতমত হতবিহ্বল হতে পারি। কিন্তু চেতনার নিশান, প্রতিরোধের বীণা বাজবে, প্রতিরোধের বজ্র ভয়ংকর হবে। চ্যালেঞ্জ রইল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! চ্যালেঞ্জ রইল! চ্যালেঞ্জ রইল...)

এবং এই লেখা লেখার পরে অনেকদিন লেখা লিখবো না বলে ভাবছি...

(বিনীত অনুরোধ- লাইক পাবার জন্য এই লেখা লিখছি না। যারা পড়বেন তারা শুধু পড়বেন এবং লেখাটির গভীরতা মর্মে নেবার চেষ্টা করবেন মাত্র। ধন্যবাদ)


দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার-

লঙ্ঘিতে হবে রাত্রী নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার! যাত্রীরা হুঁশিয়ার!


মিঠুন চাকমা

Thursday, November 7, 2013

সাজেক ভ্যালীতে পর্যটনকেন্দ্র: জুম্ম ভূমি বেদখলের পাঁয়তারা হয়তো!

 

পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের রুইলুই এলাকায়। গত ০৬ নভেম্বর এ কথা ঘোষনা দিয়ে এসেছেন দেশের সামরিক বাহিনীর চট্টগ্রাম ডিভিশনের প্রধান মেজর জেনারেল সাব্বির আহম্মেদ।(সূত্র: সিএইচটি২৪.কম) 

 না, তিনি পর্যটনমন্ত্রী নন এবং সম্ভবত পর্যটন সমৃদ্ধি বা উন্নয়নের দায়িত্বও  তিনি পাননি।
দেশে সেনাশাসন বা সামরিক শাসনও চলছে না। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম বলে কথা!

কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামমে দেশের অন্য অঞ্চলের চেয়ে ভিন্নভাবে শাসন ব্যবস্থা পরিচালিত হয়! তাই পর্যটনমন্ত্রী বা অন্য কোনো মন্ত্রী সেখানে গিয়ে কোনো ঘোষনা দেন না।পর্যটনকেন্দ্র করার ঘোষনা দিয়ে এসেছেন চট্টগ্রাম ডিভিশনের জিওসি।

প্রসঙ্গ কথায় আসি, রুইলুই বা সাজেক ভ্যালীর অনেক অংশই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অন্তর্ভু্ক্ত। উক্ত অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পার্বত্য জুম্ম জনগণ বসত গেড়েছে নানা  কারনে। প্রথম কারণ ১৯৫৮ থেকে ৬২ সালের মধ্যে গড়ে ওঠা কাপ্তাই বাঁধ। কাপ্তাই বাঁধের ফলে যারা উদ্বাস্তু হয়েছিল, তাদের কেউ কেউ সাজেকে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া ১৯৭৫ সাল থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে সশস্ত্র প্রতিরোধ হয় তার প্রতিক্রিয়ায় শাসকশ্রেনী পার্বত্য চট্টগ্রামে ডজনের অধিক গণহত্যা চালায়। এই গণহত্যাকান্ড থেকে বাঁচতে হাজার হাজার জুম্ম সাজেকে আশ্রয় নিয়েছিল তারা তাদের বাপদাদার ভিটেমাটি হারিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
ভিটামাটি হারানো অনেকেই এখনো সেই সাজেকেই আছে। তারা রুইলুই মোন বা রুইলুই পাহাড়েও আছে। তাদের কেউ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার ফেনীকূল তাইন্দং-তবলছড়ি থেকে গিয়েছিল জীবন বাঁচানোর তাগিদে। তাদের ভিটেমাটি তারা তাদের সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি! 
কেউ আশ্রয় নিয়েছিলো লুঙুদু থেকে, কেউ বা দিঘীনালার কবাখালী, বোয়ালখালী, মেরুঙ থেকে। তাদের অনেকেই তাদের বাপদাদার ভিটেয় ফিরতে পারেনি। কারণ সেই ভিটেমাটি এখন সেটলারদের দখলে। 


বর্তমানে তারা সেখানে নিশ্চিন্তে সুখে নেই। প্রকৃতি প্রতিবেশ তাদের প্রতিকূল।

তাছাড়া মাঝখানে ২০০৬ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সেখানকার জায়গা দখলের চেষ্টায় নেমেছিলো দেশের উগ্রবাদী শাসকগোষ্ঠী। সেখানকার বাঘাইহাট এলাকা থেকে জুম্ম জনগণকে উচ্ছেদ করে সেটলারদের জন্য বসতবাড়ি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিল উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠী ।


কিন্তু প্রবল প্রতিবাদ প্রতিরোধ এবং আন্দোলনের মুখে তারা তাতে সফল হয়নি।
সে যাত্রায় সাজেক ভ্যালী বেদখলের হাত থেকে বেঁচে গেল বটে। কিন্তু এখন আবার নানা সুতোয় সেই ভ্যালী দখলে নিতে তৎপর উগ্রবাদী এই শাসন নির্যাতনকারী।
সিবিদি হেইনেই জিল ঘা অহলে দোই পিলে দ্যালেও দর গরে




এবং এবার এই ভ্যালী দখলে নিতে লোভ দেখানো হচ্ছে উন্নয়নের! এই উন্নয়ন হচ্ছে পর্যটনের! সূত্রটি পর্যটন বটে! কিন্তু ঘোমটার নিচে খেমটার মতো তার পেছনে আছে অন্য অভিলাষ!


সেই অভিলাষ উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা বাস্তবায়ন করতে পারলে আবার উচ্ছেদ হবে সেই কয়েক পর্যায়ে ভিটেমাটিহারানো জুম্ম জনগণ।

আমরা কিভাবে তা হতে দিতে পারি?
না, তা হতে দিতে পারি না!
এবং তাই  দখলদারির বিরুদ্ধে লড়াই চলবে! দখলষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে সংগ্রাম চলবে!




Thursday, October 31, 2013

আমার লেখা দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকায় অন্যের নামে ছাপানোর প্রতিবাদ পত্র(ইমেইলে দৈনিক পূর্বকোণে প্রেরিত)


বরাবর,
সম্পাদক
স্থপতি তসলিমউদ্দিন চৌধুরী
দৈনিক পূর্বকোণ
৯৭১/এ, সিডিএ এভেনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম।

তারিখ: ৩০ অক্টোবর, ২০১৩

বিষয়: আমার একটি লেখা আপনার পত্রিকায় অন্যের নামে ছাপানো বিষয়ে আপত্তি ও প্রতিবাদ।

সূত্র: ২২ অক্টোবর; ২০১৩ এর দৈনিক পূর্বকোণ সংখ্যার আন্তর্জাতিক পাতা পৃষ্ঠা ৭। লেখার শিরোনাম- ভো নগুয়েন গিয়াপ-ভিয়েতনাম বিপ্লবের এক গণনায়কের নাম।

সম্মানিত;
আমার সম্মান ও শুভেচ্ছা নেবেন।
আমি মিঠুন চাকমা। মাঝে মাঝে ব্লগ ও ওয়েবসাইটে বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। কয়েকদিন আগে আমি ভিয়েতনামের বিপ্লবী নেতা ভো নগুয়েন গিয়াপের উপর একটি লেখা প্রকাশ করি।
উক্ত লেখা বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের জন্য প্রেরণ করি। এবং আমার উক্ত লেখা বিভিন্ন ব্লগ ও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, দৈনিক পূর্বকোণে আমার লেখাটি হুবহু প্রকাশিত হয়। কিন্তু লেখাটি আমার নামে প্রকাশ করা হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে “কল্যাণ চক্রবর্তী”র নামে।আমার লেখা অন্যের নামে আপনার পত্রিকায় প্রকাশিত লেখাটির ইন্টারনেট লিংক-:  http://dainikpurbokone.net/index.php/-lfontglfont-colorq5a5757qg-lfontg/2013-08-24-18-26-10/5950-2013-10-21-18-40-30

নিচে আমার উক্ত লেখাটি যে সকল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে তার লিংক প্রদান করছি।
লিংক ১: নতুন বার্তা ওয়েবসাইট- http://www.natunbarta.com/international-analysis/2013/10/05/48378/ec144089c0b113441e7ecff37e7d9878

লিংক ২: মঙ্গলধ্বনি.নেট ওয়েবসাইট- http://www.mongoldhoni.net/remembering-legendary-vietnamese-revolutionary-vo-nguyen-giap/

লিংক ৩: ব্লগ.সিএইচটি২৪.কম- http://blog.cht24.com/05/10/2013/308#.UnDhkKAUN18

লিংক ৪: পরিবর্তন ব্লগ- http://www.poriborton.com/blog/index.php/entry/2013-10-05-15-31-58


চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত এবং স্বনামে ধন্য ঐতিহ্যবাহী একটি পত্রিকা দৈনিক পূর্বকোণে একজনের লেখা অন্যের নামে ছাপানোয় আমি খুবই দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে  এ বিষয়ে আমার আপত্তি ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
অতএব, উপরোক্ত বিষয়ে আপনার আন্তরিক সহযোগিতা পাবো এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি।

বিনীত
মিঠুন চাকমা

ইমেইল: mithuncht@gmail.com


সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষাঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসংগ-১৯৪৭ সাল

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষা তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ইতিহাস একটি জাতি বা জাতিসত্তা তথা জাতিসমষ্টিকে নানাভাবে প্রভাবিত কর...