তারিখঃ ০৫ জুলাই, ২০১৭
দোষেগুণে তিনি মানুষ ছিলেন। তাঁর ছাত্র ছিলাম আমি এবং আরো অনেকেই ছিলেন। বন্ধুদের অনেকে তাঁকে সমালোচনা করতো। আমিও মাঝে মাঝে তাঁর কথা শুনে মেলাতে পারতাম না!
তিনি বারবার বলতেন, তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী/বিরোধী দলীয় নেত্রীর শেখ হাসিনা'র বন্ধু ছিলেন। তাঁকে সরাসরি প্রশংসা করলে তিনি যে খুশি হতেন তা জানা ছিল। তিনি সুযোগ পেলেই নিজের কথা বলতেন।
তারপরেও তিনি ছিলেন আমার আমাদের শিক্ষক। তিনি ভাষাতত্ত্ব, পরে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
তিনি বারবার বলতেন, তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রী/বিরোধী দলীয় নেত্রীর শেখ হাসিনা'র বন্ধু ছিলেন। তাঁকে সরাসরি প্রশংসা করলে তিনি যে খুশি হতেন তা জানা ছিল। তিনি সুযোগ পেলেই নিজের কথা বলতেন।
তারপরেও তিনি ছিলেন আমার আমাদের শিক্ষক। তিনি ভাষাতত্ত্ব, পরে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলেন।
আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সময় ভাইবা বোর্ডে তিনি আমাকে উক্ত বিভাগে ভর্তি হতে একপ্রকার অনুরোধ করেছিলেন।
কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়ে তাঁর এক আত্মীয়ের সাথে দেখা হয়। এ সময় স্যারের সাথে দেখা করার আন্তরিক ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলাম। তবে যা হয়, সারাজীবন ইন্ট্রোভারট থাকায় অনেক ইচ্ছে বাস্তবে রূপান্তর করা হলো না। স্যারকে আর দেখতে পেলাম না।
আজ যখন শুনলাম তিনি মারা গেছেন, তখন হঠাত মনটা খুব শুন্য মনে হলো।
কখন যে দুটো চোখে অশ্রু জমা হলো জানতে পারিনি। তিনি আমাকে হয়তো খুব ভালো বাসতেন। এবং কী জানি এক অন্য কারণে তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করতাম।
আজ মনে হলো তিনি মারা যাওয়ায় একটি তীব্র রোদের সময় ছায়া দেয়া একটি আপন বৃক্ষের পতন যেন আমি দেখলাম।
সম্ভব হলে একদিন তাঁর কবরে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাবো।
আজ মনে হলো তিনি মারা যাওয়ায় একটি তীব্র রোদের সময় ছায়া দেয়া একটি আপন বৃক্ষের পতন যেন আমি দেখলাম।
সম্ভব হলে একদিন তাঁর কবরে গিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানাবো।
নিচে Dipongker Goutam নামে একজন ফেসবুক বন্ধুর স্যারকে নিয়ে লেখাটি শেয়ার করলাম
রাজীব হুমায়ুন স্যার আর নেই
----------------------------------------
----------------------------------------
বিশিষ্ট ভাষাবিদ, নজরুল গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. রাজীব হুমায়ুন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
১৯৫০ সালে সন্দ্বীপে জন্ম নেওয়া হুমায়ুন ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগ দেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে এবং ভাষাবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সনও ছিলেন তিনি।পুরানো ঢাকার ভাষা নিয়ে তার কাজ ছিলো খুবই উল্লেখোগ্য।
যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর হাতে নির্যাতনে নিহত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা রাজীব হুমায়ুনের বড় ভাই জসিম । তিনি মীর কাসেমের মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।
১৯৫০ সালে সন্দ্বীপে জন্ম নেওয়া হুমায়ুন ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে যোগ দেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে এবং ভাষাবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সনও ছিলেন তিনি।পুরানো ঢাকার ভাষা নিয়ে তার কাজ ছিলো খুবই উল্লেখোগ্য।
যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর হাতে নির্যাতনে নিহত কিশোর মুক্তিযোদ্ধা রাজীব হুমায়ুনের বড় ভাই জসিম । তিনি মীর কাসেমের মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন।
চট্টগ্রাম উদীচীর সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার জীবন ও কর্মের প্রতি জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি
No comments:
Post a Comment