মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ধামকি হুমকিতে পার্বত্য জনগণ দুর্দমনীয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে!
অবরোধ বয়কটের জবাবে আপনার হুমকি ধামকির ভয়ে আমরা ভীত নই
শুরু...
আজকাল পার্বত্য ইস্যু নিয়ে কমই লিখতে যেন মনেহয়!
কী যে হয়েছে বুঝি না! আজকাল পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে বা পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত ইস্যু নিয়ে একটু কমই লিখতে যেন ইচ্ছে হয়!
কিন্তু সামনে এমন এমন ইস্যু এসে হাজির হয় যে কথা না বলে থাকাও সম্ভব যেন হয় না! মনেহয় নিজের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গি যেন না বললে পেটের ভাত হজম হয় না!
কয়েকদিন ধরেই ভাবছি তেমন আর লিখবো না বা ফেসবুক ব্লগেও তেমন মন্তব্য বা খুবই কম মন্তব্য করবো না। কিন্তু সেই মন্তব্য তেমন না করার দিনটি যেন কাছে আসছে না!
নানা সাতপাঁচ কথা ভেবে নেটে বসলাম। এবং হিলবিডি২৪.কম ভিজিট করলাম। দেখলাম রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির স্থায়িত্ব ধরে রাখতে সম্মিলিতভাবে চাঁদাবাজ সহ সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়িতে সফরে গিয়ে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামের জনসভায় অনেক কথার মধ্যে চোখেমুখে ক্রোধ এনে বলেছেন, যারা সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছে অর্থাৎ যারা আজ(১১ নভেম্বর, ২০১৩) অবরোধ করেছে তারা "কতটুকু শক্তিশালী তাও দেখে নেবেন'। (সূত্র: এনটিভি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার খবর)
বেশি উদ্ধৃতি বা কথা বলার বোধহয় দরকার নেই। এই দু'টি উদ্ধৃতিই বুঝিয়ে দেয় দেশের শাসকশ্রেনী বা প্রশাসক রাজনৈতিক গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে কী চোখে দেখতে চায় বা দেখে।
তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে দমন নিপীড়ন এবং শোষন শাসনই মাত্র করতে চায়।
একজন সামরিক কমান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়মিত জনসংশ্লিষ্ট কাজের সাথে নিবিড় থেকে বোঝাতে চান যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সেনা শাসনের মধ্যেই থাকবে, এবং সেনাবাহিনী যা-ই বলবে তাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে শাসনের মূল ভিত্তি হবে।
আর অন্যদিকে শাসনক্ষমতার সর্বোচ্চ পদাধিকারী হয়ে আরেকজন গণতন্ত্রের তোয়াক্কাকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিপীড়িত একটি অংশকে বা তার প্রতিনিধিত্বস্থানীয় সংগঠন বা সমষ্টিকে সোজা কথায় 'হুমকি' দেবেন। এবং তাই-ই হবে শিরোধার্য।
আর কথা বাড়াবার অবকাশ দেখি না।
এখানে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করবো, চেতনার নিশান যতদিন উর্দ্ধে থাকবে, যতদিন অধিকারের আকাঙ্খা জ্বলজ্বল করতে থাকবে এবং যতদিন নিপীড়িত জনগণের প্রতিরোধস্পৃহার বিনাশ না হবে ততদিন এই 'অন্যায় অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী একনায়কসুলভ দমন নিপীড়নমূলক' শাসকশ্রেনী বা গোষ্ঠী বা ক্ষমতামদমত্তগোষ্ঠীর এই লাফঝাঁপ দৌড়ঝাঁপ ধামকি হুমকি শাসানোর পাল্টা জবাব দিতে পার্বত্য জনগণ প্রস্তুত থাকবে।
মাননীয় প্রধামন্ত্রী আপনি কীসের গণতন্ত্রের কথা বলেন? একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের এতটুকুন অবরোধ বয়কট আপনি সহ্য করতে পারেন না! ?
আপনি হুমকি দিয়েছেন, শাসিয়েছেন?!
ধামকি দিয়েছেন?
এবং গণতন্ত্র শেখাচ্ছেন?!
পরমত সহিঞ্চতা শেখাচ্ছেন?!
গণতান্ত্রিক অধিকার শেখাচ্ছেন?!
আপনি ক্ষমতায় আছেন এবং তা পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন, নিপীড়িত জনগণকে শাসন করা যেমন সোজা বলে মনেহয়, তারা যখন ফুঁসে উঠবে (তারা সংখ্যায় তেমন তো বেশি নয়! ১৬কোটি মানেুষের দেশে মাত্র কয়েক লাখ!) তখন দেখবেন জনরোষ জনউত্থান কাকে বলে।
অনুরোধ জানাবো এবং বিনীতভাবে অনুরোধ করবো, হুমকি দেবেন না। ধামকি দেবেন না।
এবং অনুরোধ করবো, খাগড়াছড়ির সমাবেশে যা বলেছেন তা যেন প্রত্যাহার করে নেন। পার্বত্য জনগণ যত হুমকি ধামকির সম্মুখীন হয়, ততো তারা যেন দুর্দমনীয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এটা মনে রাখবেন। বরং নরমভাবে কথা বলুন, তাতে কাজ হবে!
আর যদি হুমকি দেও বা 'দেখে নেবো' শাসান বা ধামকি দেনও তবে চ্যালেঞ্জ রইল। মনে রাখবেন আমরা দুর্বল নই এবং ভীতও নই
(আমি দুর্বল হতে পারি। আমি ভয়ে ভীত হতে পারি বা থতমত হতবিহ্বল হতে পারি। কিন্তু চেতনার নিশান, প্রতিরোধের বীণা বাজবে, প্রতিরোধের বজ্র ভয়ংকর হবে। চ্যালেঞ্জ রইল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! চ্যালেঞ্জ রইল! চ্যালেঞ্জ রইল...)
এবং এই লেখা লেখার পরে অনেকদিন লেখা লিখবো না বলে ভাবছি...
(বিনীত অনুরোধ- লাইক পাবার জন্য এই লেখা লিখছি না। যারা পড়বেন তারা শুধু পড়বেন এবং লেখাটির গভীরতা মর্মে নেবার চেষ্টা করবেন মাত্র। ধন্যবাদ)
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার-
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রী নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার! যাত্রীরা হুঁশিয়ার!
মিঠুন চাকমা
অবরোধ বয়কটের জবাবে আপনার হুমকি ধামকির ভয়ে আমরা ভীত নই
শুরু...
আজকাল পার্বত্য ইস্যু নিয়ে কমই লিখতে যেন মনেহয়!
কী যে হয়েছে বুঝি না! আজকাল পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা নিয়ে বা পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কিত ইস্যু নিয়ে একটু কমই লিখতে যেন ইচ্ছে হয়!
কিন্তু সামনে এমন এমন ইস্যু এসে হাজির হয় যে কথা না বলে থাকাও সম্ভব যেন হয় না! মনেহয় নিজের মতামত বা দৃষ্টিভঙ্গি যেন না বললে পেটের ভাত হজম হয় না!
কয়েকদিন ধরেই ভাবছি তেমন আর লিখবো না বা ফেসবুক ব্লগেও তেমন মন্তব্য বা খুবই কম মন্তব্য করবো না। কিন্তু সেই মন্তব্য তেমন না করার দিনটি যেন কাছে আসছে না!
নানা সাতপাঁচ কথা ভেবে নেটে বসলাম। এবং হিলবিডি২৪.কম ভিজিট করলাম। দেখলাম রাঙামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সরোয়ার হোসেন পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির স্থায়িত্ব ধরে রাখতে সম্মিলিতভাবে চাঁদাবাজ সহ সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাগড়াছড়িতে সফরে গিয়ে খাগড়াছড়ি স্টেডিয়ামের জনসভায় অনেক কথার মধ্যে চোখেমুখে ক্রোধ এনে বলেছেন, যারা সমাবেশে আসতে বাধা দিয়েছে অর্থাৎ যারা আজ(১১ নভেম্বর, ২০১৩) অবরোধ করেছে তারা "কতটুকু শক্তিশালী তাও দেখে নেবেন'। (সূত্র: এনটিভি সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার খবর)
বেশি উদ্ধৃতি বা কথা বলার বোধহয় দরকার নেই। এই দু'টি উদ্ধৃতিই বুঝিয়ে দেয় দেশের শাসকশ্রেনী বা প্রশাসক রাজনৈতিক গোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামকে কী চোখে দেখতে চায় বা দেখে।
তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে দমন নিপীড়ন এবং শোষন শাসনই মাত্র করতে চায়।
একজন সামরিক কমান্ডার পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়মিত জনসংশ্লিষ্ট কাজের সাথে নিবিড় থেকে বোঝাতে চান যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম সেনা শাসনের মধ্যেই থাকবে, এবং সেনাবাহিনী যা-ই বলবে তাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে শাসনের মূল ভিত্তি হবে।
আর অন্যদিকে শাসনক্ষমতার সর্বোচ্চ পদাধিকারী হয়ে আরেকজন গণতন্ত্রের তোয়াক্কাকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের মধ্যে সবচেয়ে নিপীড়িত একটি অংশকে বা তার প্রতিনিধিত্বস্থানীয় সংগঠন বা সমষ্টিকে সোজা কথায় 'হুমকি' দেবেন। এবং তাই-ই হবে শিরোধার্য।
আর কথা বাড়াবার অবকাশ দেখি না।
এখানে স্পষ্টভাবে উচ্চারণ করবো, চেতনার নিশান যতদিন উর্দ্ধে থাকবে, যতদিন অধিকারের আকাঙ্খা জ্বলজ্বল করতে থাকবে এবং যতদিন নিপীড়িত জনগণের প্রতিরোধস্পৃহার বিনাশ না হবে ততদিন এই 'অন্যায় অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী একনায়কসুলভ দমন নিপীড়নমূলক' শাসকশ্রেনী বা গোষ্ঠী বা ক্ষমতামদমত্তগোষ্ঠীর এই লাফঝাঁপ দৌড়ঝাঁপ ধামকি হুমকি শাসানোর পাল্টা জবাব দিতে পার্বত্য জনগণ প্রস্তুত থাকবে।
মাননীয় প্রধামন্ত্রী আপনি কীসের গণতন্ত্রের কথা বলেন? একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠনের এতটুকুন অবরোধ বয়কট আপনি সহ্য করতে পারেন না! ?
আপনি হুমকি দিয়েছেন, শাসিয়েছেন?!
ধামকি দিয়েছেন?
এবং গণতন্ত্র শেখাচ্ছেন?!
পরমত সহিঞ্চতা শেখাচ্ছেন?!
গণতান্ত্রিক অধিকার শেখাচ্ছেন?!
আপনি ক্ষমতায় আছেন এবং তা পারেন। কিন্তু মনে রাখবেন, নিপীড়িত জনগণকে শাসন করা যেমন সোজা বলে মনেহয়, তারা যখন ফুঁসে উঠবে (তারা সংখ্যায় তেমন তো বেশি নয়! ১৬কোটি মানেুষের দেশে মাত্র কয়েক লাখ!) তখন দেখবেন জনরোষ জনউত্থান কাকে বলে।
অনুরোধ জানাবো এবং বিনীতভাবে অনুরোধ করবো, হুমকি দেবেন না। ধামকি দেবেন না।
এবং অনুরোধ করবো, খাগড়াছড়ির সমাবেশে যা বলেছেন তা যেন প্রত্যাহার করে নেন। পার্বত্য জনগণ যত হুমকি ধামকির সম্মুখীন হয়, ততো তারা যেন দুর্দমনীয় অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে এটা মনে রাখবেন। বরং নরমভাবে কথা বলুন, তাতে কাজ হবে!
আর যদি হুমকি দেও বা 'দেখে নেবো' শাসান বা ধামকি দেনও তবে চ্যালেঞ্জ রইল। মনে রাখবেন আমরা দুর্বল নই এবং ভীতও নই
(আমি দুর্বল হতে পারি। আমি ভয়ে ভীত হতে পারি বা থতমত হতবিহ্বল হতে পারি। কিন্তু চেতনার নিশান, প্রতিরোধের বীণা বাজবে, প্রতিরোধের বজ্র ভয়ংকর হবে। চ্যালেঞ্জ রইল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী! চ্যালেঞ্জ রইল! চ্যালেঞ্জ রইল...)
এবং এই লেখা লেখার পরে অনেকদিন লেখা লিখবো না বলে ভাবছি...
(বিনীত অনুরোধ- লাইক পাবার জন্য এই লেখা লিখছি না। যারা পড়বেন তারা শুধু পড়বেন এবং লেখাটির গভীরতা মর্মে নেবার চেষ্টা করবেন মাত্র। ধন্যবাদ)
দুর্গম গিরি কান্তার মরু দুস্তর পারাবার-
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রী নিশীথে যাত্রীরা হুঁশিয়ার! যাত্রীরা হুঁশিয়ার!
মিঠুন চাকমা