প্রোপাগান্ডা এখন একটি জোরালো অস্ত্র যা দি লড়া্ই চালানো যায়, লড়াই থামানো যায়, লড়াই ভিন্নদিকে নিয়ে যাওয়া যায়
নোয়াম চমস্কি ২০০২ সালে "মিডিয়া কন্ট্রোল: দ্য স্পেকটাক্যুলার এচিভমেন্ট অব প্রোপাগান্ড" নামে একটি লেখা প্রকাশ করেন।
সেই লেখায় তিনি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সরাসরি দমন-নির্যতনের কৌশল ব্যবহার না করে কিভাবে প্রার প্রোপাগান্দা বা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনমতকে নিজের পক্ষে নিয়ে সকল লড়াই-সংগ্রাম বা ভিন্নমতকে দমন করা যায় বা জনমকে সবসময় অন্য ঠুনকো ইস্যু নিয়ে মশগুল রাখা যায় তা নিয়ে তথ্যপূর্ন মত দিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আমার মনে হয়ে সেই লেখাটি কিছু অংশ পাঠকদের কাছে শেয়ার কার দরকার, তাই শেয়ার করলাম।
"উদ্রো উুইলসনের প্রশাসন তখন। ১৯১৬ সালে উদ্রো উইলসন 'বিজয় ছাড়াই শান্তি'র মঞ্চে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। সময়টা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি। সাধারণ মানুষ তখনও খুব শান্তিবাদী, কার্যত ইউরোপীয় এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কোন কারন তখনও পর্যন্ত তারা খূজে পায়নি। এদিকে উইলসন প্রশাসন তো যু্দ্ধের প্রতি ভীষণ দায়বদ্ধ, ফলে এ ব্যাপারে কিছু একটা তাদের করতেই হয়। তখন ক্রিল কমিশন নামে এক সরকারী প্রোপাগান্ডা কমিশন গঠন করে তারা, আর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষকে তা এক ক্ষিপ্ত, যদ্ধোন্মাদ জনতায় পরিণত করতে সফর হয় তারা-যে জনতা জার্মানীর যা কিছু, স-ব ধ্বংস করতে চায়, জার্মানদের ধরে ছিড়ে ফেলতে চায়, যদ্ধে যোগ দিয়ে দুনিয়াকে রক্ষা করতে চায়। এ এক বিরাট সাফল্য,ক্রমে যা আরো বড়ো সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়।
ঠিক এই সমেয় এবং যুদ্ধের পরে প্রায় একই কায়দায় তথাকথিত এক লাল আতঙ্কের উন্মাদনা খুঁচিয়ে তোলা হয়-ইউনিয়নগুলোকে ধ্বংস আর সংবাদপত্র ও রাজনৈতিক চিন্তার স্বাধীনতাকে সম্পূর্ন নির্মুল করার ক্ষেত্রে তা দারুনভাবে সফল হয়। গণমাধ্যম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে এর পক্ষে খূব জোরালো সমর্থন মেলে। এর ব্যবস্থা তো করেছিল তারাই, আর তারাই ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাতে সাফল্যও মেলে আশাতীত।"(সূত্র:নোয়াম চমস্কি; গণমাধ্যমেরর চরিত্র;মন ফকিরা, ২০০৭;পৃষ্ঠা-৭.৮)
নোয়াম চমস্কি ২০০২ সালে "মিডিয়া কন্ট্রোল: দ্য স্পেকটাক্যুলার এচিভমেন্ট অব প্রোপাগান্ড" নামে একটি লেখা প্রকাশ করেন।
সেই লেখায় তিনি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সরাসরি দমন-নির্যতনের কৌশল ব্যবহার না করে কিভাবে প্রার প্রোপাগান্দা বা মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনমতকে নিজের পক্ষে নিয়ে সকল লড়াই-সংগ্রাম বা ভিন্নমতকে দমন করা যায় বা জনমকে সবসময় অন্য ঠুনকো ইস্যু নিয়ে মশগুল রাখা যায় তা নিয়ে তথ্যপূর্ন মত দিয়েছেন। আজকে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে আমার মনে হয়ে সেই লেখাটি কিছু অংশ পাঠকদের কাছে শেয়ার কার দরকার, তাই শেয়ার করলাম।
"উদ্রো উুইলসনের প্রশাসন তখন। ১৯১৬ সালে উদ্রো উইলসন 'বিজয় ছাড়াই শান্তি'র মঞ্চে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। সময়টা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মাঝামাঝি। সাধারণ মানুষ তখনও খুব শান্তিবাদী, কার্যত ইউরোপীয় এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার কোন কারন তখনও পর্যন্ত তারা খূজে পায়নি। এদিকে উইলসন প্রশাসন তো যু্দ্ধের প্রতি ভীষণ দায়বদ্ধ, ফলে এ ব্যাপারে কিছু একটা তাদের করতেই হয়। তখন ক্রিল কমিশন নামে এক সরকারী প্রোপাগান্ডা কমিশন গঠন করে তারা, আর মাত্র ছয় মাসের মধ্যে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষকে তা এক ক্ষিপ্ত, যদ্ধোন্মাদ জনতায় পরিণত করতে সফর হয় তারা-যে জনতা জার্মানীর যা কিছু, স-ব ধ্বংস করতে চায়, জার্মানদের ধরে ছিড়ে ফেলতে চায়, যদ্ধে যোগ দিয়ে দুনিয়াকে রক্ষা করতে চায়। এ এক বিরাট সাফল্য,ক্রমে যা আরো বড়ো সাফল্যের দিকে এগিয়ে যায়।
ঠিক এই সমেয় এবং যুদ্ধের পরে প্রায় একই কায়দায় তথাকথিত এক লাল আতঙ্কের উন্মাদনা খুঁচিয়ে তোলা হয়-ইউনিয়নগুলোকে ধ্বংস আর সংবাদপত্র ও রাজনৈতিক চিন্তার স্বাধীনতাকে সম্পূর্ন নির্মুল করার ক্ষেত্রে তা দারুনভাবে সফল হয়। গণমাধ্যম ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে এর পক্ষে খূব জোরালো সমর্থন মেলে। এর ব্যবস্থা তো করেছিল তারাই, আর তারাই ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাতে সাফল্যও মেলে আশাতীত।"(সূত্র:নোয়াম চমস্কি; গণমাধ্যমেরর চরিত্র;মন ফকিরা, ২০০৭;পৃষ্ঠা-৭.৮)
No comments:
Post a Comment