Wednesday, April 17, 2013

ফেসবুকে আলোচনা করা না করা নিয়ে বিতর্ক

খেয়াল করে দেখবেন আপনারা। এই গ্রুপে অনেক সদস্য পোস্ট করেন । বড় ছোট সবাই এবং সব গ্রুপে পোস্ট করার আগে এই গ্রুপেই আগে করেন। আমি নিজেও তাই করি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কিছু মহাজ্ঞানী আছেন তাদের সেই লেখা বা অনুভূতিগুলো খেয়াল করার সময় হয়না অনেকের। তাঁরা সেই সহজ সরল কথাগুলো ভদ্রভাবে এড়িয়ে চলেন। ফলে অনেকেই লেখার বা চিন্তা করার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।
দাদাদের অনুরোধ করব ছোট বড় সবাইকে গুরুত্ব দেন, দেখবেন সবার মধ্যে উৎসাহ জিনিসটা এসে গেছে।

খালি জ্ঞানগম্ভীর কিছু বুলি আউড়াইয়াই খেল খতম কইরেন না। আমাগোর মত পিচ্চিদেরও উৎসাহিত কইরেন। কমেন্ট করার আলসি লাইগলে অন্তত একটা লাইকায়েন। এতেই এনাফ।

অপ্রিয় কিছু সত্য কথা কইয়া ফালাইলাম। ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখনের দরকার নাই। যে যেভাবে পারেন গায়ে মাইখেন।

  • Mithun Chakma Jumma Priyangshu Chakma, এই গ্রুপের লেখা পড়ার চেষ্টা করি, মন্তব্য করারও চেষ্টা করি। কিন্তু ইদানীং পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কিছু লেখা পড়তেও ইচ্ছে করে না। ভালো লেখায় মন্তব্য থাকে না। কিন্তু উস্কানীমূলক লেখায় মন্তব্য দেদার। অবস্থাদৃষ্টে মনেহয় চটপটি মার্কা লেখায় মন্তব্য করে আমরা মজা পাই। সিরিয়াস কোনো আলোচনা বেশিদূর এগোয় না ।
  • Priyangshu Chakma আপনার কথায় মেলা যুক্তি মিথুন দা, কিন্তু আমাদের উচিত কাঙ্খিত আলোচকদের আহবান করা যেমনটা আপনি আমাকে করলেন।
  • Mithun Chakma Jumma Priyangshu Chakma, ব্যক্তিগতভাবে খোলামেলা হয়ে দায়িত্ব নিয়েই আলোচনা করার চেষ্টা করি। কিন্তু আলোচনা অনেক সময় এত হালকা বিষয়ে হয়ে থাকে যে আলোচনা এগিয়ে নেবার কোনোই মানে হয় না বলেই মনে হয়। গতকাল রাতে একটি ফটো পোস্ট করি। এক ছোটভাইয়ের আইড হ্যাক্ড হবার পরে সেই আইডি থেকে যে ব্যক্তি হ্যাক্ড করেছে সে এমন আলোচনা করতে চেষ্টা করেছে যে আমি থমকে গিয়েছিলাম।
  • Mithun Chakma Jumma আমি পার্টি কর্মী। পার্টির সকল বিষয়ে আমার জানাশোনা না থাকলেও কাজের মধ্যে আছি বিধায় যেকোন কথা কাজকে বিবেচনা করেই করি। অন্যের মতো যা তা বলে, হালকা আলোচনা করে সময় কাটানোর কোনো ইচ্ছেই নেই। সুতরাং যখন আলোচনা করি তখন দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করার পরও তো দেখি সিরিয়াস আলোচনা করার মতো খুবই কম ব্যক্তিই থাকে! এখানে একটি বিষয় বলে রাখি যা বলি তা বাস্তবায়ন করার মতো থাকলে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা থেকেই বলি। সুতরাং যেখানে সেখানে শুধু মন্তব্য-বিতর্ক করার মানসিকতা রাখি না। যেমন, উদাহরণ দিই। ক'দিন আগে এক অর্থবান জুম্ম হেলিকপ্টার ভাড়া করে বিয়ে করলো। সেখানে আমি বক্তব্য রেখেই ক্ষান্ত থাকাতে বিশ্বাস করি না। যেহেতু কোনো বাস্তব পদক্ষেপই নিতে পারিনি সেহেতু কথা বলা বা সমালোচনা বা মন্তব্য করারই ইচ্ছে ছিলো না। রাশি মারা গেলো। ছোটভাই অজল যখন আবেগি মন্তব্য করলো তখন ইচ্ছে হলো কিছু বলি। কিন্তু হয়তো আমার চাছাছোলা কথায় ভুল মিনিঙ বের হবে এই চিন্তা করে আর কথা বাড়াইনি। ক'দিন আগে ইউপিডিএফএর অর্থসহায়তা নিয়ে কথা বললাম। কিন্তু এক পর্যায়ে সত্যিকার একটি উদাহরণ দেবার পরে এক ছোটভাই মন্তব্য করলো, "দাদা @ বেয়াদবি মাফ করবেন] শেষকালের শেষ বাক্যগুলো দিবেদিয়ে পণ্ডিতের দাম্ভিকতা হইয়া কানে বাজিল। জেএসএস/ ইউ পিডিএফ এইসব ব্যাপারে শতভাগ স্ট্রিক্টেড/রেস্ট্রিক্টেড থাকে বলে আমি মুখ্যসুখ্য মানুষ জুম্ম রাজনৈতিক জ্ঞানী হইতে পারিনি। আক্ষেপ আপনারা জ্ঞানী হইয়া কিছু দিতে অপারগ আমি অজ্ঞানী হইয়া কাজে লাগলাম না। ননাদের রাজনীতি পাঠ অদ্ধঙগ থাকল।"। আমি দাম্ভিকতা দেখানোর জন্য কথা বলি না। যা বলি পরিস্থিতিকে বোঝানোর জন্যই বলি। তা যতই চাছাছোলা বা কঠিন কঠোর হোক না কেন। কিন্তু কেই- বা চায় অন্যের চোখে দাম্ভিক হতে! ইচ্ছে করে নিজের জ্ঞান জাহির করতে!
  • Priyangshu Chakma আমাদের সবার কমবেশি ভূল ভ্রান্তি থাকে। কিন্তু সবার খেয়াল রাখা উচিত যে সবখানে হিউমার নিয়ে আসাটা সমিচিন নয়। তবে পরিস্থিতি হাল্কা করার জন্য মাঝে মাঝে রসও লাগে বৈ কি।
    তবে গালা গালির করার ব্যাপারে বলব, আমাদের মধ্যে টলারেন্সের খুব অভাব।
     
     

    • Mithun Chakma Jumma এখানে একটি কথা বলি, আমি আমার যেকোন বক্তব্য, মতামত, চিন্তাগত অবস্থান নিয়ে জবাবদিহি দিতে প্রস্তুত। কিন্তু অযথা নিজেকে 'জাহির মানসিকতা' 'দাম্ভিকতা বা বড়াই দেখানো' 'পান্ডিত্য জাহির করা' 'জ্ঞানী ভাব নেয়া' এ সকল কোনকিছুই আমার হবার ইচ্ছে নেই। আমি কথা বলি জাতিসত্তার লড়াইয়ে আমার দায়িত্ব পালনের খাতিরে। পার্টি আমাকে বলেনি যে তুমি ফেসবুকে লেগে থাক। আমার কথা জানানোর জন্য বলি। আমার চিন্তা জানানোর জন্য বলি। আমি যা করার চেষ্টা করছি তা জানানোর জন্য বলি। যা বলি তা কাজে পরিণত করার খাতিরেই বলি। যা বলি না তা কার্যকর করার যোগ্যতা না থাকার কারণেই বলি না। এটাই আমার ব্যর্থতা। এটাই বাস্তব সীমাবদ্ধতা! যাহোক অনেক কথা বললাম! না বলতে চাইলেও বললাম। কারণ উপায় ছিলো না। ডিবেদিয়ে পন্ডিত হবার কোনো ইচ্ছে নেই এবং 'পন্ডিত হোলেবার' ইচ্ছেও নেই। ভুল বোঝাবুঝি যাতে না হয় তার জন্যই এত কথা বলা।

No comments:

Post a Comment

সর্বাধিক পঠিত

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষাঃ পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসংগ-১৯৪৭ সাল

ইতিহাসের ভ্রান্তি থেকে বিভ্রান্তিকর শিক্ষা তারিখঃ ১৬ আগস্ট, ২০১৭ ইতিহাস একটি জাতি বা জাতিসত্তা তথা জাতিসমষ্টিকে নানাভাবে প্রভাবিত কর...