বার্মার নিউজ সাইট মিজিমা.কম(লিংক- মিজিমা.কম) তাদের ওয়েবসাইটে একটি
উপসম্পাদকীয় বা প্রবন্ধ প্রকাশ করে। উপসম্পাদকীয়-এর শিরোনাম ছিলো- Violence
Begets Violence, যার বাংলা মানে হচ্ছে, সংঘাতই সংঘাতের জন্ম দেয়।
মূলতঃ সে দেশে দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন জাতিসত্তার সশস্ত্র সংগঠনসমূহ যে সগ্রাম করছে এবং তার বিপরীতে বার্মা বা মায়ানমার সরকার যে পাল্টা নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা নেয় বা নিয়েছিল বা নিচ্ছে, সে বিষয়কে উপজীব্য করে এই উপসম্পাদকীয় লেখা হয়েছিল।
নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, কয়েকদিন আগে সেখানে কাচিন জাতিসত্তার সশস্ত্র সংগঠনের সাথে বার্মার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতে এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। এতে সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়েই উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছিল।
লেখাটি পড়ার পরে তার সার বা মূল যে বক্তব্য তা আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের এবং বিশেষ ভাবে বলতে গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের প্রেক্ষিতে এই লেখা খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছি। তাই আমি লেখাটির সারানুবাদ করার চেষ্টা করি। পুরো লেখাটি অনুবাদ করিনি, পাছে বাংলাদেশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষিতে লেখাটির সার বক্তব্য নিষ্প্রাণ বোধ হতে পারে তার জন্য।
উপসম্পাদকীয় এই লেখায় বলা হয়, রাজনীতি যখন যুদ্ধে রূপ নেয় তখন যুদ্ধ্যমান পক্ষগুলো রাজনীতিকে বিসর্জন দেয়।
এতে আরো বলা হয়- এই সত্যিকারভাবে অনস্বীকার্য যে, যুদ্ধ হচ্ছে রাজনীতিরই বিভ্রান্ত অনুগামী। কিন্তু যখন রাজনৈতিক চক্রান্ত যুদ্ধে রূপ নেয় তখন কিন্তু তার সমাধান করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এ সময় যুদ্ধ্যমান পক্ষগুলো রাজনীতিকে নির্বাসন দেয় এবং ভাবতে থাকে বা বিশ্বাস করতে থাকে যে, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে বিজয়ী হবার জন্য লড়াইয়ে নেমে পড়া। এতে জঙলী আইন প্রতিষ্ঠা পায় এবং সংঘাতই যেন নিয়তি হয়ে ওঠে।
কাচিন বাহিনীর সাথে সংঘাতে বার্মার সেনা কর্মকর্তা নিহত হবার পরে পরষ্পর পরষ্পরকে দোষারোপ করা নিয়ে এতে বলা হয়- দেশে পরষ্পরকে দোষারোপের খেলা অভাবিতপূর্ব নয়। গত দীর্ঘ ৬০ বছরের অধিককাল ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাতে কে অপরাধ করেছে বা কে সংঘাতের জন্য দায়ী, এটা নিরূপণ করা খুব সহজ কাজ নয়।
এছাড়া বলা হয়- একটি আপ্তবাক্য প্রচলিত রয়েছে যে, সত্যই হচ্ছে যুদ্ধের প্রথম শিকার (the first victim of war is truth)। আজ আমরা দেখছি আপ্তবাক্যটি যেন জীবনলাভ করলো এবং বাস্তব সত্যে পরিণত হলো।
উক্ত প্রবন্ধে রবার্ট এফ কেনেডির যে উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো-“Violence breeds violence.” অর্থাৎ, সংঘাত উত্তরোত্তর সংঘাতকে বাড়িয়ে তোলে।
ছয় দশক ধরে চলা হানাহানি এবং সংঘাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, সমাধানের চেয়ে যুদ্ধ কেবলমাত্র যুদ্ধ ও সংঘাতকে বাড়িয়ে তোলে।
লেখাটির শেষ অংশে বলা হয়েছে- অতএব, একে অপরের বিরু্দ্ধে অস্ত্র ব্যবহার না করতে আমরা সরকার ও সশস্ত্রদলগুলোকে অনুরোধ করবো। এবং দ্বন্দ্ব সমাধান করতে রাজনৈতিক আলোচনা ও মৈত্রীপ্রদর্শন করার দিকে মনোযোগ দেয়ার দাবি জানাবো।
[মিজিমা.কম-এ প্রকাশিত Violence Begets Violence শিরোনামের প্রবন্ধ অবলম্বনে রচিত]
মিঠুন চাকমা
ইমেইল: mithuncht@gmail.com
মূলতঃ সে দেশে দীর্ঘকাল ধরে বিভিন্ন জাতিসত্তার সশস্ত্র সংগঠনসমূহ যে সগ্রাম করছে এবং তার বিপরীতে বার্মা বা মায়ানমার সরকার যে পাল্টা নিবর্তনমূলক ব্যবস্থা নেয় বা নিয়েছিল বা নিচ্ছে, সে বিষয়কে উপজীব্য করে এই উপসম্পাদকীয় লেখা হয়েছিল।
নির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, কয়েকদিন আগে সেখানে কাচিন জাতিসত্তার সশস্ত্র সংগঠনের সাথে বার্মার সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতে এক সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়। এতে সেখানে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এ বিষয়েই উক্ত প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছিল।
লেখাটি পড়ার পরে তার সার বা মূল যে বক্তব্য তা আমার কাছে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের এবং বিশেষ ভাবে বলতে গেলে পার্বত্য চট্টগ্রামে চলমান ভ্রাতৃঘাতি সংঘাতের প্রেক্ষিতে এই লেখা খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছি। তাই আমি লেখাটির সারানুবাদ করার চেষ্টা করি। পুরো লেখাটি অনুবাদ করিনি, পাছে বাংলাদেশ এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষিতে লেখাটির সার বক্তব্য নিষ্প্রাণ বোধ হতে পারে তার জন্য।
উপসম্পাদকীয় এই লেখায় বলা হয়, রাজনীতি যখন যুদ্ধে রূপ নেয় তখন যুদ্ধ্যমান পক্ষগুলো রাজনীতিকে বিসর্জন দেয়।
এতে আরো বলা হয়- এই সত্যিকারভাবে অনস্বীকার্য যে, যুদ্ধ হচ্ছে রাজনীতিরই বিভ্রান্ত অনুগামী। কিন্তু যখন রাজনৈতিক চক্রান্ত যুদ্ধে রূপ নেয় তখন কিন্তু তার সমাধান করা দুরূহ হয়ে পড়ে। এ সময় যুদ্ধ্যমান পক্ষগুলো রাজনীতিকে নির্বাসন দেয় এবং ভাবতে থাকে বা বিশ্বাস করতে থাকে যে, পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে বিজয়ী হবার জন্য লড়াইয়ে নেমে পড়া। এতে জঙলী আইন প্রতিষ্ঠা পায় এবং সংঘাতই যেন নিয়তি হয়ে ওঠে।
কাচিন বাহিনীর সাথে সংঘাতে বার্মার সেনা কর্মকর্তা নিহত হবার পরে পরষ্পর পরষ্পরকে দোষারোপ করা নিয়ে এতে বলা হয়- দেশে পরষ্পরকে দোষারোপের খেলা অভাবিতপূর্ব নয়। গত দীর্ঘ ৬০ বছরের অধিককাল ধরে চলা সশস্ত্র সংঘাতে কে অপরাধ করেছে বা কে সংঘাতের জন্য দায়ী, এটা নিরূপণ করা খুব সহজ কাজ নয়।
এছাড়া বলা হয়- একটি আপ্তবাক্য প্রচলিত রয়েছে যে, সত্যই হচ্ছে যুদ্ধের প্রথম শিকার (the first victim of war is truth)। আজ আমরা দেখছি আপ্তবাক্যটি যেন জীবনলাভ করলো এবং বাস্তব সত্যে পরিণত হলো।
উক্ত প্রবন্ধে রবার্ট এফ কেনেডির যে উদ্ধৃতি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো-“Violence breeds violence.” অর্থাৎ, সংঘাত উত্তরোত্তর সংঘাতকে বাড়িয়ে তোলে।
ছয় দশক ধরে চলা হানাহানি এবং সংঘাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, সমাধানের চেয়ে যুদ্ধ কেবলমাত্র যুদ্ধ ও সংঘাতকে বাড়িয়ে তোলে।
লেখাটির শেষ অংশে বলা হয়েছে- অতএব, একে অপরের বিরু্দ্ধে অস্ত্র ব্যবহার না করতে আমরা সরকার ও সশস্ত্রদলগুলোকে অনুরোধ করবো। এবং দ্বন্দ্ব সমাধান করতে রাজনৈতিক আলোচনা ও মৈত্রীপ্রদর্শন করার দিকে মনোযোগ দেয়ার দাবি জানাবো।
[মিজিমা.কম-এ প্রকাশিত Violence Begets Violence শিরোনামের প্রবন্ধ অবলম্বনে রচিত]
মিঠুন চাকমা
ইমেইল: mithuncht@gmail.com
No comments:
Post a Comment