সিএইচটি২৪.কম
বৃহস্পতিবার; ০৩ জুলাই, ২০১৪
পার্বত্য চট্টগ্রাম:
পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনের অন্যতম সদস্য
তদেকমারা কিজিঙে বৌদ্ধমূর্তি তৈরীর স্থান পরিদর্শনের সময় কর্তব্যরত পুলিশ
কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করলেন, ১৪৪ ধারা শুধু কি পাহাড়িদের জন্য? পার্বত্য
চট্টগ্রাম কমিশনের সদস্যগণ আজ বাঘাইছড়ির বঙলতুলির তদেকমারা কিজিঙ পরিদর্শনে
যান। সেখানে তাদের সাথে এলাকার কয়েকশত পাহাড়ি নারী পুরুষ যোগ দেয়। এ সময়
পাহাড়ি ছাড়াও শতাধিক সেটলার উক্ত এলাকায় অবস্থান নেয়।
সুলতানা কামাল তদেকমারা কিজিঙে
বৌদ্ধমূর্তি নির্মানের স্থানে ঢুকতে গেলে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা
বলে ওঠেন, প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে, এত লোকজন ঢোকা যাবে না। জবাবে
সুলতানা কামাল পুলিশকে বলেন, আপনি তো আইনের লোক। তিনি তখন দূরে দাড়িয়ে থাকা
শতাধিক সেটলার বাঙালিরে দিকে আঙুল উচিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে
বলে ওঠেন, ১৪৪ ধারা কি তবে ঐ দূরে দাড়িয়ে থাকাদের(সেটলার বাঙালি) জন্য নয়?
এই প্রশ্ন পুলিশ কর্মকর্তাকে করলে পুলিশ কর্মকর্তা থতমত খেয়ে ওঠে এবং কোনো
জবাব না দিয়ে বলে, আপনারা ঢুকতে পারবেন, ওরা(পাহাড়ি) নয়।(উল্লেখ্য, প্রশাসন
কোনো স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করলে সেখানে ৪ জনের অধিক লোকজন একত্রিত হতে
পারবে না বলে আইনে লেখা রয়েছে। কিন্তু অধিক সংখ্যায় সেটলার একত্রিত হবার
পরও পুলিশ কর্মকর্তা তাদের বিষয়ে কথা না বলায় সুলতানা কামাল এই প্রশ্ন
তোলেন)।
এ সময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করেন,
এলাকায় মসজিদ রয়েছে কি না। পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, দুইটি মসজিদ রয়েছে। একটি
সেনাবাহিনীর জন্য এবং আরেকটি দুই পরিবার সেটলারের জন্য। এ সময় সুলতানা
কামাল বলেন, যেস্থানে মসজিদ বানানো হয়েছে সেই স্থান রিজার্ভ ফরেষ্টের
অন্তর্ভুক্ত কি না। পুলিশ কর্মকর্তা হ্যা বলে জবাব দেন। এ সময় সুলতানা
কামাল বলেন, মাত্র দুই পরিবারের জন্য রিজার্ভ ফরেস্টে এলাকায় মসজিদ থাকতে
পারলে তবে কেন ৪৫০ পরিবার পাহাড়ি বা জুম্ম পরিবারের জন্য মন্দির বা
বৌদ্ধমূর্তি তৈরী করা যাবে না। এ প্রশ্ন করলে পুলিশ কর্মকর্তা তা এড়িয়ে
যান।
উল্লেখ্য সিএইচটি কমিশনের একটি প্রতিনিধি
দল গত ২ জুলাই থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম পরিদর্শনের জন্য আসে। সফরের অংশ
হিসেবে আজ প্রতিনিধি দলটি দীঘিনালার বাবুছড়া ও বাঘাইছড়ির তদেকমারা কিজিঙে
সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য যায়।
No comments:
Post a Comment