বেতার ও টেলিভিশনের সম্প্রচার নীতিমালা বাংলাদেশ সরকার মন্ত্রীসভার গত ০৪
আগস্ট সোমবারের বৈঠকে খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। প্রচার মাধ্যমে খসড়া
নীতিমালার বিভিন্ন দিক প্রচারিত হলে মিডিয়া সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ ও সচেতন
জনসাধারণ এ নিয়ে নানা বক্তব্য ও সমালোচনা প্রদান করেছেন। এমনকি সম্প্রচার
নীতিমালার খসড়া ঢাকায় পুড়িয়ে ফেলে সাংবাদিকদের দু’টি সংগঠন এই নীতিমালা না
মানার ঘোষনা দিয়েছে বলে ইন্টারনেট মিডিয়ার মাধ্যমে জানা গেল।
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে এত বিতর্ক সমালোচনা কেন শুরু হলো?
সম্প্রচার নীতিমালায় থাকা বক্তব্য বা বিষয়বস্তুই এই বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে বলা যায়।
এতে থাকা যে সকল বিষয় বিতর্কের জন্ম নিয়েছে তা নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
০১. সশস্ত্র বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোনো বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ বা অবমাননাকর দৃশ্য বা বক্তব্য প্রচার করা যাবে না।
০২. অপরাধীদের দণ্ড দিতে পারেন এমন সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার মতো দৃশ্য বা বক্তব্যও প্রচার করা যাবে না।
০৩. জনস্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিদ্রোহ, নৈরাজ্য ও হিংসাত্মক ঘটনা প্রচার করা যাবে না।
০৪. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন সামরিক, বেসামরিক বা সরকারি তথ্য প্রচার করা যাবে না।
০৫. নীতিমালায় আরও বলা হয়, কোনো জাতি বা জনগোষ্ঠী, দেশের মর্যাদা বা ইতিহাসের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনোকিছু, বিদেশি রাষ্ট্রের অনুকূলে যায় এমন কিছু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না।
০৬. টক শোতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন না করার কথাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।
০৭. সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষতিকর কোনোকিছু প্রচার বা প্রকাশ না করার কথা বলা হয়।
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথমআলো
এই বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল রাখলে জর্জ অরেওয়েলের দ্য এনিমল ফার্ম বইটির কথা মনেপড়ে। সেই বইয়ে তিনি প্রাণীসমূহের রাজত্বে কথা বলেছিলেন। প্রতীকী অর্থে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, ‘সাম্য’ বা ’সমতা’র কথা বলে আসলে ’শোষনের’ই রাজত্ব চলে। বাস্তবে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায়ও আমরা ’জনগণেণর কল্যাণে’র নামে ‘শোষনমূলক ব্যবস্থা’ই চলতে দেখি।
এতে অমনুষ্য প্রাণীর শাসকশ্রেনীর শাসনকর্তার এক আইনে বলা হচ্ছে- All animals are equal, But some animals are more equal than others.
বাংলা করলে দাড়ায়, প্রাণীজগতের সবাই সমান, তবে কিছু প্রাণী অন্যদের চেয়ে আরো বেশি ‘সমান’। অর্থাৎ, সাম্য বা সমতার কথা বলা হলেও আদতে অসাম্য বা অসমতাকেই এই শাসনব্যবস্থায় জারি রাখা হয়েছে।
এখন আমরা সম্প্রচার নীতিমালার দিকে খেয়াল করি। তাতে প্রতি পদে পদে আমরা দেখতে পাবো, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, আইন রক্ষাকারী বাহিনী বা ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বা সংগঠনসমূহ বা ব্যক্তিগণ যেন সবসময় ‘মোর ইক্যুয়েল দেন আদারস’! তবে জর্জ অরওয়েলের উদ্ধৃতি থেকে ‘Animal’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু ‘Man’/ ‘Men’ বসিয়ে দিলেই হবে!
এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য আর করছি না!
সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে এত বিতর্ক সমালোচনা কেন শুরু হলো?
সম্প্রচার নীতিমালায় থাকা বক্তব্য বা বিষয়বস্তুই এই বিতর্ক ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে বলা যায়।
এতে থাকা যে সকল বিষয় বিতর্কের জন্ম নিয়েছে তা নিচে সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো-
০১. সশস্ত্র বাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত কোনো বাহিনীর প্রতি কটাক্ষ বা অবমাননাকর দৃশ্য বা বক্তব্য প্রচার করা যাবে না।
০২. অপরাধীদের দণ্ড দিতে পারেন এমন সরকারি কর্মকর্তাদের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার মতো দৃশ্য বা বক্তব্যও প্রচার করা যাবে না।
০৩. জনস্বার্থ বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনো বিদ্রোহ, নৈরাজ্য ও হিংসাত্মক ঘটনা প্রচার করা যাবে না।
০৪. রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন সামরিক, বেসামরিক বা সরকারি তথ্য প্রচার করা যাবে না।
০৫. নীতিমালায় আরও বলা হয়, কোনো জাতি বা জনগোষ্ঠী, দেশের মর্যাদা বা ইতিহাসের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনোকিছু, বিদেশি রাষ্ট্রের অনুকূলে যায় এমন কিছু প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না।
০৬. টক শোতে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন না করার কথাও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়।
০৭. সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত বিষয়ে ক্ষতিকর কোনোকিছু প্রচার বা প্রকাশ না করার কথা বলা হয়।
তথ্যসূত্র: দৈনিক প্রথমআলো
এই বিষয়বস্তুর দিকে খেয়াল রাখলে জর্জ অরেওয়েলের দ্য এনিমল ফার্ম বইটির কথা মনেপড়ে। সেই বইয়ে তিনি প্রাণীসমূহের রাজত্বে কথা বলেছিলেন। প্রতীকী অর্থে তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন, ‘সাম্য’ বা ’সমতা’র কথা বলে আসলে ’শোষনের’ই রাজত্ব চলে। বাস্তবে রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থায়ও আমরা ’জনগণেণর কল্যাণে’র নামে ‘শোষনমূলক ব্যবস্থা’ই চলতে দেখি।
এতে অমনুষ্য প্রাণীর শাসকশ্রেনীর শাসনকর্তার এক আইনে বলা হচ্ছে- All animals are equal, But some animals are more equal than others.
বাংলা করলে দাড়ায়, প্রাণীজগতের সবাই সমান, তবে কিছু প্রাণী অন্যদের চেয়ে আরো বেশি ‘সমান’। অর্থাৎ, সাম্য বা সমতার কথা বলা হলেও আদতে অসাম্য বা অসমতাকেই এই শাসনব্যবস্থায় জারি রাখা হয়েছে।
এখন আমরা সম্প্রচার নীতিমালার দিকে খেয়াল করি। তাতে প্রতি পদে পদে আমরা দেখতে পাবো, প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি, আইন রক্ষাকারী বাহিনী বা ব্যক্তি, রাষ্ট্রীয় সংস্থা বা সংগঠনসমূহ বা ব্যক্তিগণ যেন সবসময় ‘মোর ইক্যুয়েল দেন আদারস’! তবে জর্জ অরওয়েলের উদ্ধৃতি থেকে ‘Animal’ শব্দটি বাদ দিয়ে শুধু ‘Man’/ ‘Men’ বসিয়ে দিলেই হবে!
এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য আর করছি না!
No comments:
Post a Comment