হরতাল দিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে আরেকটি ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে।
এই দেশের জনগণ মৌলবাদী-সাম্প্রদয়িক দর্শনকে প্রশ্রয় দেয়নি। মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িকতা অনেকসময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এখানে প্রভাব বিস্তার করলেও তা ডমিনেন্ট এলিমেন্ট হিসেবে স্থিত হয়নি।
কিন্তু বারবারই নানা ছলছুতোয় এই ধর্মান্ধতাকে ব্যবহার করে অনেকে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছে।
এখানে বলে রাখা দরকার, ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষকে দমাতে পারেনি তখন তারা হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বকে উস্কে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হিটলারও তার দেশে ইহুদীবিরোধী মনোভাব উস্কে দিয়ে ক্ষমতাকে পোক্ত করেছে।
হেফাজতে ইসলামের লঙমার্চের বিপরীতে হরতালের ডাক কী প্রতিক্রিয়া আনার বার্তা বহন করে?
কী মনোভাব এই হরতাল ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে? ধর্মান্ধতা বা সাম্প্রদায়িকতাকে এতে উস্কানী দেয়া হচ্ছে কিনা? অথবা পাল্টা অসহিঞ্চুতার প্রকাশ ঘটানো হচ্ছে কিনা?
এই হরতাল ঘোষনার মাধ্যমে ধর্মান্ধতার প্রতিরোধ কি আদৌ করা হচ্ছে? নাকি উল্টো ধর্মান্ধতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে?
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে যদি আদৌ লড়াই করা প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে তার মূল উপরানোর আয়োজনই তো করতে হবে।
যাই হোক না কেন, হেফাজতের এই উগ্র অবস্থানের বিপরীতে পাল্টা উগ্র অবস্থান কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেই বিশ্বাস।
পাল্টা হরতাল দিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে নতুন ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ার মানেই হচ্ছে জনগনের লড়াইয়ের আকাঙ্খাকে সেন্টিমেন্টাল জনস্বার্থহীন ইস্যুতে পরিণত করার প্রচেষ্টা নেয়া। এই ধরণের পাল্টা উগ্র অবস্থান জনগণের মুক্তির লড়াইকে ভিন্নদিকে কানাগুলিতে নিক্ষেপ করারই মতো একটি সচেতন বা অবচেতন বা অসচেতন প্রচেষ্টা বলেই আমার কাছে মনে হয়।
এই দেশের জনগণ মৌলবাদী-সাম্প্রদয়িক দর্শনকে প্রশ্রয় দেয়নি। মৌলবাদ বা সাম্প্রদায়িকতা অনেকসময় পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এখানে প্রভাব বিস্তার করলেও তা ডমিনেন্ট এলিমেন্ট হিসেবে স্থিত হয়নি।
কিন্তু বারবারই নানা ছলছুতোয় এই ধর্মান্ধতাকে ব্যবহার করে অনেকে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করেছে।
এখানে বলে রাখা দরকার, ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষকে দমাতে পারেনি তখন তারা হিন্দু-মুসলিম দ্বন্দ্বকে উস্কে দিয়েছে। ফ্যাসিস্ট হিটলারও তার দেশে ইহুদীবিরোধী মনোভাব উস্কে দিয়ে ক্ষমতাকে পোক্ত করেছে।
হেফাজতে ইসলামের লঙমার্চের বিপরীতে হরতালের ডাক কী প্রতিক্রিয়া আনার বার্তা বহন করে?
কী মনোভাব এই হরতাল ঘোষণার মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে? ধর্মান্ধতা বা সাম্প্রদায়িকতাকে এতে উস্কানী দেয়া হচ্ছে কিনা? অথবা পাল্টা অসহিঞ্চুতার প্রকাশ ঘটানো হচ্ছে কিনা?
এই হরতাল ঘোষনার মাধ্যমে ধর্মান্ধতার প্রতিরোধ কি আদৌ করা হচ্ছে? নাকি উল্টো ধর্মান্ধতাকে উস্কে দেয়া হচ্ছে?
ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে যদি আদৌ লড়াই করা প্রয়োজন হয়ে থাকে তবে তার মূল উপরানোর আয়োজনই তো করতে হবে।
যাই হোক না কেন, হেফাজতের এই উগ্র অবস্থানের বিপরীতে পাল্টা উগ্র অবস্থান কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয় বলেই বিশ্বাস।
পাল্টা হরতাল দিয়ে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীকে নতুন ইস্যু সৃষ্টির সুযোগ করে দেয়ার মানেই হচ্ছে জনগনের লড়াইয়ের আকাঙ্খাকে সেন্টিমেন্টাল জনস্বার্থহীন ইস্যুতে পরিণত করার প্রচেষ্টা নেয়া। এই ধরণের পাল্টা উগ্র অবস্থান জনগণের মুক্তির লড়াইকে ভিন্নদিকে কানাগুলিতে নিক্ষেপ করারই মতো একটি সচেতন বা অবচেতন বা অসচেতন প্রচেষ্টা বলেই আমার কাছে মনে হয়।
No comments:
Post a Comment