ইউপিডিএফ বাস্তবভাবে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ধান কাটার মৌসুমে জনগণকে সহযোগিতার একটি কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে। তারা খাগড়াছড়ি সদরে এক ধানচাষীর পাকা ধান কেটে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছে। পাকা ধান কেটে দিয়ে ধানচাষীদের সহযোগিতা করার এই উদ্যোগ নিয়ে ফেসবুকে নানা ধরণের বক্তব্য, প্রশংসা, সমালোচনা ইত্যাদি উঠে আসছে। এ বিষয়ে কিছু কথা নিচে লিখে শেয়ার করলাম।
জাতিগতভাবে আমরা পরিশ্রমী হিসেবে নাম কুড়ালেও মানসিকভাবে আমরা খুবই অলস বলেই আমার মনেহয়। আমরা যত কথা বলি তার চেয়ে কম কাজ করি। যা বলি তা বলার পরে কী বলেছি, কেন বলেছি, বলার পরে যে করণীয়ও রয়েছে তাও অনেকসময় মনে থাকেনা।
ইউপিডিএফ গ্রামে ধান কাটার মৌসুমে ধানচাষীদের সহযোগিতা করছে এটা ভালো উদ্যোগ হবে তখনই যখন জাতিগত দিকথেকে অলস মানসিকতাকে আমরা ঝেরে ফেলতে পারবো। ধান চাষ বা পাকা ধান তোলার মৌসুম থাকে। সময়ে ধান লাগাতে না পারলে বা ধান কাটতে না পারলে বা তুলতে না পারলে ধানচাষীদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি পোহাতে হয়। সাধারণত 'মালেইএ' সিস্টেম প্রচলিত হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ে বা মৌসুমের মধ্যে কাজটি সারা বা শেষ করার জন্য। এতে অর্থক্ষয় স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশী হলেও কিছুই করার থাকেনা। ধানচাষী সময়মত ধান রোপন বা ধান কেটে তুলতে না পারলে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনেকরি জাতিগতভাবে আমাদের এই মানসিক অলসভাব কাটাতে হলে ইউপিডিএফএর মতো এই ধরণের কাজকে মন থেকে সাপোর্ট দেয়া আমাদের অন্যতম কর্তব্য হওয়া প্রয়োজন। তা যাতে আদতেই সফলতার মুখ দেখে তার জন্য প্রয়োজনে নিজেরাই মাঠে নামার উদ্যোগ নেয়া বর্তমান সময়ের জন্য সবচেয়ে গুরুতর করণীয় একটি দায়িত্ব।
এই কাজটি না করে ঘরে বসে রাজা উজির মেরে বা নেটে বসে 'বিজ্ঞ' ফলিয়ে আমাদের কাজের কাজ কিছুই হবে না। চাকমা বাষায় একটি প্রবাদ রয়েছে। তা হচ্ছে' রেদোত অহলে সাত আহল, বিন্নে এক আহলও নেই। এই প্রবাদ বাক্যটি ইউপিডিএফএর এই ধরনের কাজের জন্য যেমন আগাম ওয়ার্নিঙ তেমনি যারা সমালোচনা কর যাচ্ছেন তাদের জন্য একটি বার্তা যে আমাদের আরো অনেকদূর এগুতে হবে কথা না বাড়িয়ে।
No comments:
Post a Comment